এবারের সংখ্যাটা বাড়লো আগের থেকে, অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার ২৭ কোটি

এই মুহূর্তে রাজ্যে জুড়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। অর্পিতার একের পর এক ফ্লাট থেকে উদ্ধার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা। কুবেরের ধনকেও হার মানাবে অর্পিতার ফ্ল্যাটের ছবি৷ এর আগে দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত আবাসনে তাঁর ফ্ল্যাট থেকেই উদ্ধার হয়েছে নগদ প্রায় ২২ কোটি টাকা৷ সঙ্গে প্রচুর সোনার গয়না ও ২০টি মোবাইল ফোন৷

এবার ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ্য টাকা উদ্ধার হয়েছে বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে। এরই সাথে মিলেছে ৩ কেজি সোনাও। অর্পিতার সব কটি ফ্ল্যাট থেকে এরম ভাবে টাকা মিলতে থাকলে সেই টাকার ধরলে অঙ্কটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেই নিয়ে রীতিমতো জল্পনা চলছে।  

ব্যাঙ্ককর্মীরা কার্যত টাকার উপর উপুড় হয়ে পড়েছেন। এত টাকা শেষ কবে তারা গুনেছেন, সেই প্রশ্নও উঠেছে। রাত ১১ টা পেরিয়ে যাওয়া অবধি সময়ে চার ঘন্টার বেশি সময় ধরে চলেছিল এই টাকা গণনা। আবার ফের এই বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য আনা হয়েছিল কন্টেনার ট্রাক। গোটা এলাকা নিরাপত্তার কড়া চাদরে মুড়ে রাখা হয়েছে।

প্রথম দফায় ১৫ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল। চতুর্থ দফায় সেই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ কোটি। ৩ কেজি সোনার বাট উদ্ধার হয়েছে। তার বাজারদর ২ কোটি টাকার উপরে। তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ রীতিমতো বিস্মিত হয়েছেন এই ঘটনায়। লজ্জাজনক পরিস্থিতি বলে তিনি মনে করছেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় নির্দোষ, এই কথাটা কেন বলছেন না, এই কথাও কুণাল ঘোষের মুখে শোনা গিয়েছে।

চলতি বছরে মাত্র দুবার অর্পিতা বেলঘরিয়ার এই ফ্ল্যাটে এসেছিলেন। তাও রাত্রিবাস করেননি। কিছু সময় থেকে চলে গিয়েছেন। এই দুদিন কি অর্পিতা তাহলে টাকা ও সোনা রাখতেই এসেছিলেন? সেইসময় কি অর্পিতার সঙ্গে অন্য কেউ ছিল? তার সঙ্গে কি বড় লাগেজ ব্যাগ ছিল?  সেইসব প্রশ্ন উঠে আসছে৷

প্রয়োজনে আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে। এত বিপুল অঙ্কের টাকা তো এক – দুদিনে জমা করা সম্ভব নয়। দীর্ঘ সময় ধরে এই টাকা এনে জমানো হত। ওয়ার্ডরোবে টাকা সাদা মোটা কাগজে মুড়িয়ে থরে থরে সাজানো রয়েছে। নিখুঁত সেই প্যাকেটের মোড়ক। প্রশ্ন একটাই, দুর্নীতির অঙ্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে?