বাম, তৃণমূলের পর এবার বিজেপির নিশানাতেও রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ। রাজ্যপাল থাকার অর্থ কী? চাঁচাছোলা ভাষায় প্রশ্ন শমীক ভট্টাচার্যের। সাংবাদিক বৈঠকে এ নিয়ে তিনি বলেন, “ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে আমরা ব্যর্থ। কারণ পুলিশ এখানে আমাদের কথা শুনবে না। কদর্য ভূমিকা পালন করছে। বিভিন্ন জায়গায় কী প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা চলছে। সংবিধানের রক্ষাকর্তা রাজ্যপালের বিষয়টি দেখা উচিত।”
আরও ক্ষোভের সুরে বলেন, “তিনি সরকারের কেউ নন। যিনি বিধানসভার সদস্য নন। তিনি সমস্ত সরকারি কাজকর্মের হিসাব নিচ্ছেন এবং তাঁকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য সমস্ত পুলিশকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাহলে এখানে রাজ্যপালের ভূমিকা কী? তাঁর এখানে থাকার প্রয়োজন কী? এটাই এখন সাধারণ মানুষের কাছে সবথেকে বড় প্রশ্ন।” এর আগে একাধিকবার একাধিক ইস্যুতে রাজ্যপাল সংঘাত চরমে উঠেছে। এবার একেবারে বিজেপির তরফে সুর চড়ানোয় তা নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
বৃহস্পতিবারই একেবারে ২০০ কর্মীকে নিয়ে রাজভবনের পথে পা বাড়িয়েছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর দাবি, সকলেই ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার। কিন্তু, কেউই ঢুকতে পারেননি রাজভবনে। আগেই আটকে দেয় পুলিশ। যদিও কোনওভাবেই তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এদিকে এ কথা রাজ্যপালের কানে যেতেই কিন্তু তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। এমনকি দশ পাতার বিবৃতিও দেওয়া হয় রাজভবনের তরফে। পাশাপাশি রাজ্যের কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে রিপোর্ট।