করোনা সংক্রমণের একের পর এক নতুন ঢেউয়ের সম্মুখী হচ্ছে দেশ। করোনা ভাইরাস তৃতীয় ঢেউয়ের কোপ এখন প্রায় কমে গিয়েছে দেশজুড়ে। কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছে ভারতবাসী এবং ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যেই একাধিক পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে এবং আগামী কয়েক দিন তা আরও স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলেই আশা। কিন্তু এরই মাঝে ফের একবার অশনি সঙ্কেত দিল আইআইটি কানপুর। তাদের গবেষকরা জানিয়েছেন, চলতি বছরেই আসছে কোভিডের চতুর্থ ঢেউ। থাকবে প্রায় ৪ মাস।
কী আদতে বলছেন আইআইটি গবেষকরা? তাদের স্পষ্ট দাবি, আগামী জুন মাস থেকেই শুরু হয়ে যেতে পারে করোনা ভাইরাস চতুর্থ ঢেউ, যা চলবে অক্টোবর মাস পর্যন্ত। মোটামুটিভাবে দিনক্ষণও বলে দিচ্ছেন তারা। বলা হচ্ছে, জুন মাসের ২২ তারিখ থেকেই ভারতে করোনার চতুর্থ ঢেউ শুরু হতে পারে, যা চলবে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত। তবে এই ঢেউ কতটা ভয়ঙ্কর হবে তা এখন থেকে বলতে পারছেন না তারা কেউই। কিন্তু কী ভাবে ভয়াবহতা বৃদ্ধি করতে পারে এই ঢেউ তার একটা ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে আইআইটি কানপুরের তরফে। গবেষকরা বলছেন, করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়্যান্টের চরিত্রের ওপর নির্ভর করবে কোভিড চতুর্থ ঢেউয়ের ভয়াবহতা। করোনাভাইরাসের নতুন কোনও স্ট্রেন হাজির হলে চাপ বাড়বে। আবার দেশের কত মানুষ টিকা পেয়েছে তার ওপরেও করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের প্রভাব নির্ভর করবে বলে মত তাদের।
গবেষকরা আরও জানাচ্ছেন, অগাস্ট মাসে এই ঢেউ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। তারপর থেকে প্রভাব কমতে শুরু করবে করোনার। আসলে ওমিক্রন প্রজাতি নিয়ে চিন্তা থেকেই এই অনুমান করা হচ্ছে। জানা নতুন ওমিক্রনের সংক্রমণের হার আগের ওমিক্রনের চেয়ে বেশি হতে পারে। যদিও দুই ওমিক্রনে বেশি পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়নি। সংক্রমণের গতি, হাসপাতালে ভর্তির পরিসংখ্যান দেখে মনে করা হচ্ছে আগের ওমিক্রন থেকে নতুন ওমিক্রন খুব একটা আলাদা নয়। দুটিতেই মোটামুটি একই রকমভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তাই নতুন ওমিক্রন সেভাবে প্রভাব ফেলতে পারবে না এই জিনিস ভাবা ভুল হবে।