এবার জিজ্ঞেসাবাদের জন্য দুই মন্ত্রীকে সামনা সামনি বসাতে পারে সিবিআই

এই মুহূর্তে বেশ খানিকটা অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে রাজ্যের দুই মন্ত্রী। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলা নিয়ে চাপের মধ্যে রয়েছে রাজ্যের দুই মন্ত্রীর পরিস্থিতি। এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী এবং বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী, দু’জনেই সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখিন হয়েছেন। কিন্তু আলাদা আলাদাভাবে। তবে এবার তদন্ত আরও গভীর করতেই দুই মন্ত্রীকে মুখোমুখি বসাতে চাইছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর এমনটাই। তারা মনে করছে, আপাতত যা যা তথ্য সামনে এসেছে তা হিমশৈল্যের চূড়া মাত্র। দুজনকে একসঙ্গে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসতে পারে বলেই মনে করছে সিবিআই।

ইতিমধ্যেই কার্যত ম্যারাথন জেরার মুখে পড়েছেন রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও খুব একটা ছাড় পেয়েছেন তা নয়। কিন্তু তাতে মোটেই সন্তুষ্ট হচ্ছে না সিবিআই গোয়েন্দারা। তাদের অনুমান, এই ইস্যুতে ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’ রয়েছে। তাই দুই মন্ত্রীকে যে করে হোক এক জায়গায় বসাতে উদ্যোগী হচ্ছে তারা। কলকাতা হাইকোর্ট পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছে, একই সঙ্গে এতদিনের বেতন দুই কিস্তিতে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু তারা এও মনে করছে যে, শুধু অঙ্কিতা নন, তাঁর মতো আরও অনেক প্রভাবশালী এইভাবে চাকরি পেয়েছেন। বেআইনিভাবে হস্তক্ষেপ করে তাদের চাকরি করে দিয়েছেন অন্য প্রভাবশালীরা। তাদেরকেই খুঁজে বের করতে উদ্যোগ নিয়েছে সিবিআই।

তবে এসএসসি কেলেঙ্কারী মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় জটিল অবস্থানে রয়েছেন। ইতিমধ্যে একবার সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীকে। আগামী সপ্তাহে ফের তাঁকে তলব করা হয়েছে। সিবিআই যাতে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ না নেয়, সেই কারণে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেখানে বিশেষ সুবিধা করতে পারেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়।