তৃতীয় বার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে রাজ্যের মসনদে ফেরার পর সাধারণ মানুষের জন্য বেশ কিছু প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন তিনি। এই প্রকল্প গলির মধ্যে অন্যতম হলো স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। কিন্তু এই মুহূর্তে বারংবার ঘোষণা করার পরেও সাধারণ মানুষকে বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে। রাজ্য সরকারের দেওয়া এই কার্ড সমস্যা প্রশাসনের নজরে আসার পর সরকার কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও সেইভাবে সমাধান মিলছে না। সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে সেটা যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সমাধান হয় তার জন্যই আবেদন জানানো হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।
রাজ্যের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালের বাইরে যাতে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে হেলপ ডেস্ক করা হয়, সেই মর্মে জনস্বার্থ মামলায় আবেদন জানিয়েছেন আইনজীবী শ্রীকান্ত দত্ত। এই মামলায় রাজ্য সরকার এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ ইতিমধ্যেই দিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্ত ও বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
কিছুদিন আগেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে হাসপাতালগুলিকে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট জানান, কেউ স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরালে ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপ করা হবে৷ মমতা আরও বলেন, যে সমস্ত নার্সিংহোম স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফিরিয়ে দিচ্ছে, এ বার তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবে সরকার! সাধারণ মানুষ যেন স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা পায়, এটাতে নজর দিতে হবে বলে অবগত করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি সাধারণ মানুষকে আবেদন করেন, যাতে তারা বাইরে না গিয়ে এই রাজ্যেই চিকিৎসা করান।