বিভিন্ন কারণে একের পর এক হাজিরা বাতিল করেছেন তিনি৷ তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করার সুযোগ পায়নি ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট৷ এই অবস্থায় শুক্রবার রুজিরার কাছে নোটিস পাঠিয়েছে ইডি৷ কয়লা পাচারের মামলায় তিনি ঠিক কবে ইডি-র দফতরে হাজির হতে পারবেন, তা জামতে চাওয়া হয়েছে।
গত দেড় বছর ধরে কয়লা পাচার-কাণ্ডে রুজিরাকে একাধিকবার দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে৷ কিন্তু বারবারই তিনি সমন এড়িয়েছেন৷ করোনাকালে দু’টি শিশুসন্তানকে কলকাতায় রেখে তাঁর পক্ষে দিল্লি গিয়ে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয় বলেও ইডিকে জানিয়েছিলেন। তবে এই মামলায় অভিষেক অবশ্য দু’বার দিল্লি গিয়ে তদন্তকারীদের মুখোমুখি হয়েছেন।
এর আগে কয়লা পাচার-কাণ্ডে ২০২১ সালের মার্চ মাসে ভবানীপুরে অভিষেকের বাড়িতে গিয়ে রুজিরাকে প্রশ্ন করেছিলেন সিবিআই-এর অফিসাররা। সেই সময় রুজিরা বোন মেনকা গম্ভীরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। মেনকার স্বামী ও শ্বশুরকে নিজাম প্যালেসে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে এখনও ইডি-র জেরার মুখোমুখি হননি রুজিরা৷
এদিকে, দিল্লির পরিবর্তে কলকাতার অফিসে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক৷ এই আর্জি জানিয়ে দিল্লি হাই কোর্টে যান অভিষেক-রুজিরা। কিন্তু দিল্লি হাই কোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেয়৷ পরে একই আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তাঁরা। সেখানে খানিক স্বস্তি মেনে৷ তাঁদের কলকাতার অফিসে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয় সর্বোচ্চ আদালত।
ইডি-র তদন্তকারী অফিসাররা জানাচ্ছেন, এখনও পর্যন্ত কয়লা পাচার মামলায় ১৩০০ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেনের তথ্য উঠে এসেছে। পাচারের লভ্যাংশের মোটা টাকা পৌঁছত রাজ্যের একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে। অভিযোগ, হাওয়ালা মারফত সেই টাকা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে৷ সেই সূত্রেই রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।