এবার রাজীব লড়বে সামনের সারি থেকে

লক্ষ্য এখন আগামী নির্বাচন। এবার রাজ্যের শাসক দলের চেষ্টা রাজ্যের বাইরেও ক্ষমতা বিস্তারের। প্রস্তুতি চলছে তুঙ্গে। বছর ঘুরলেই ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। সেই ভোটের জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২১ বাংলা বিধানসভা ভোটে জেতার পর বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে নিশানা করেছে ঘাসফুল। সেই প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে দুই রাজ্য ভোট লড়াও হয়ে গিয়েছে। এবার তাদের লক্ষ্য ত্রিপুরা। আর সেখানে তৃণমূলের যুদ্ধে সামনে থেকে লড়াইয়ে নামছেন দলের পুরনো যোদ্ধা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজীব চলে গিয়েছিলেন বিজেপিতে। ভোট মিটতেই আবার ‘কামব্যাক’ করেন তৃণমূলে। তবে দল তাঁকে বাংলার দায়িত্ব আর দেয়নি বরং ত্রিপুরার সংগঠন মজবুত করার দায়িত্ব দিয়েছে। তাঁকে সামনে রেখেই সেখানে আগামী নির্বাচন লড়তে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যে তৃণমূল নতুন রাজ্য কমিটি গঠন করেছে সেখানে। রাজ্য কমিটিতে ১৬ জন তফসিলি জাতি, ১৮ জন তফসিলি উপজাতি ও ৩২ জন ওবিসি গোষ্ঠীভুক্ত প্রতিনিধি রয়েছেন।

১৪ জন মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি রয়েছেন এবং ত্রিপুরায় ইনচার্জ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে ত্রিপুরায় তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি করা হয়েছে প্রাক্তন বিধায়ক সুবল ভৌমিককে। ৬ জনের কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে। সুবল ভৌমিক ছাড়াও ত্রিপুরায় তৃণমূলের ওই কোর কমিটিতে রয়েছেন সুস্মিতা দেব, আশিস দাস, আশিসলাল সিং, ভৃগুরাম রিয়াং ও মামন খান।

বাংলার বিধানসভায় বিপুল ভোটে জেতার পর তৃণমূল ভেবেছিল অন্য রাজ্যেও আশানুরূপ ফল হবে তাদের। কিন্তু সেই রকম কিছু হয়নি। গোয়া হোক কিংবা ত্রিপুরা, ভাল ফল করতে পারেনি ঘাসফুল শিবির। ত্রিপুরার পুরভোটে লড়ে কোনও আসন পায়নি তারা, কিছু ভোট পেয়েছিল। সেটাকেই পুঁজি করে আগামী নির্বাচনগুলিতে ভাল ফল করার আসায় দল সাজাচ্ছে মমতা বাহিনী।