ভারতে ইন্টারনেট ব্যবসার কথা উঠলে যার নাম সবার আগে আসে তিনি হলেন মুকেশ আম্বানি৷ এবার মহাকাশ ছুঁয়ে এবার ভারতে ইন্টারনেট ব্যবসা শুরুর আবেদন জানালেন বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের এলন মাস্ক৷ ভারতে ব্যবসা শুরু করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে ‘স্টারলিঙ্ক’৷ ফলে এবার সম্মুখ সমরে নামতে চলেছেন মুকেশ আম্বানি ও এলন মাস্ক৷ মুকেশ আম্বানির জিও-কে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে মাস্কের স্টারলিঙ্ক৷ চাপে পড়বে অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলিও৷ তবে মূল প্রতিপক্ষ নিশ্চিত ভাবেই আম্বানি গোষ্ঠীর জিও৷
ইতিমধ্যেই ভারতে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে স্টারলিঙ্ক৷ তবে এখনও পর্যন্ত এদেশে ব্যবসা শুরুর ছাড়পত্র পায়নি তারা৷ সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়, এখনও পর্যন্ত ভারতে পরিষেবা শুরুর লাইসেন্স পায়নি স্টারলিঙ্ক। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের আর্জি, এ দেশের নাগরিকরা যেন এই পরিষেবা সাবস্ক্রাইব না করেন৷ এতে ক্ষতি হতে পারে। ভারত সরকারের এই বয়ানের পরই নড়েচড়ে বসেছেন মাস্কের সংস্থা। কারণ তাঁরা ইতিমধ্যেই বাণিজ্যিক লাইসেন্সের আবেদন করে ফেলেছেন৷
এ প্রসঙ্গে সংস্থার ভারতীয় শাখার ডিরেক্টর সঞ্জয় ভার্গব বলেন, ‘‘আমারা আশা করি, কোনও বড়সড় বাধার সম্মুখীন না হলে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যেই আমরা বাণিজ্যিক লাইসেন্স পেয়ে যাব। অনুমতি না পাওয়া পর্যন্ত আমরা পরিষেবা শুরু করব না।” ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ২ লক্ষ ডিভাইস ইনস্টল করার টার্গেট নিয়েছে স্টারলিঙ্ক। এর মধ্যে ৮০ শতাংশ এলাকাই গ্রামীণ৷ যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে৷
ইন্টারনেট পরিষেবা নিয়ে একবার গ্রামে পৌঁছে যেতে পারলেই একটা বড় অংশের গ্রাহক ধরতে পারবে স্টারলিঙ্ক৷ তেমনটা হলে নিশ্চিত ভাবেই চাপে পড়বে অন্যান্য টেলিকম সংস্থাগুলি৷ তবে কেন্দ্রের সাম্প্রতিক বয়ানের পর অনেকেই মনে করছেন, ভারতে বাণিজ্যের জন্য লাইসেন্স পেতে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে স্টারলিঙ্ককে। কেন্দ্র তাদের ব্যবসার অনুমতি দেয় কিনা, সেটাই দেখার বিষয়। তবে অনুমতি পেলে আম্বানি গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়াই একেবারে জমে উঠবে৷