এক দু বছর নয় প্রায় একত্রিশটা বছর৷ অবশেষে মিলল মুক্তি৷ প্রায় একত্রিশ বছর পর জেল খাটার পর মুক্তি পেল রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত এ জি পেরারিভালান। প্রথমে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল৷ পরে সাজা লাঘব হয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড করা হয়। ৩১ বছর জেলে থাকার পর বুধবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে মুক্তি পেল সে৷ সুপ্রিম কোর্টের আজকের এই রায় রাজীব হত্যা মাললার আরও ছয় অপরাধীর মুক্তির পথ প্রশস্ত করে দিল। যাদের মধ্যে রয়েছে নালিনী শ্রীধরন এবং তার স্বামী মুরুগনও।
১৯৯১ সালে রাজীব গান্ধীকে হত্যা করা হয়৷ সেই সময় এ জি পেরারিভালানের বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর। সে রাজীব গান্ধী হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত ছিল বলে অভিযোগ৷ জঙ্গি সংগঠন লিবারেশন টাইগারস অফ তামিল ইলামের সদস্য তথা রাজীব হত্যার অন্যতম চক্রী শ্রীবাসনকে ৯ ভোল্টের দুটি ব্যাটারি জোগাড় করে দিয়েছিল এই পেরারিভালান। সেই ব্যাটারি ব্যবহার করেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল৷ ১৯৯৮ সালে গ্রেফতারির পর এ জি পেরারিভালানকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে সন্ত্রাস দমন আদালত। সেই সাজা বহাল রাখে শীর্ষ আদালত৷ তবে, ২০১৪ সালে সেই সাজা লাঘব করে তাক যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের দণ্ডিত করা হয়। ৩১ বছর জেল খাটার পর চলতি বছর মার্চে জামিন পায় সে৷
নির্ধারিত সময়ের আগে মুক্তির আবেদন জানিয়েছিল পেরারিভালন৷ ২০১৫ সালে ক্ষমাপ্রার্থনা করে তামিলনাড়ু সরকারের কাছে পিটিশন দেয় সে৷ ভারতীয় সংবিধানের ১৬১ নম্বর ধারা অনুযায়ী মুক্তি দাবি করে৷ কিন্তু এর বিরোধিতা করে কেন্দ্র৷ বিষয়টি রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দের উপরেই ছাড়েন তালিমনাড়ুর রাজ্যপাল৷ কিন্তু, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না নিয়েই ফাইল ফেলে রাখেন রাষ্ট্রপতি৷ যা নিয়ে প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট৷ বলা হয়, তামিলনাড়ু সরকার চায় রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় দোষীসাব্যস্ত সাত জনকেই ১৬১ ধারায় ক্ষমা করা হোক। এক্ষেত্রে রাজ্যপাল মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য৷ এর জন্য রাষ্ট্রপতির মতামতের অপেক্ষা নিষ্প্রোয়জন৷ এর পরেই বুধবার পেরারিভালনকে মুক্তির নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।