কেরলের কোঝিকোড় মেডিক্যাল কলেজের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় চরম গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে যে, ওই শিশুটির হাতে পাঁচটির বদলে ছয়টি আঙুল রয়েছে। অতিরিক্ত আঙুল অস্ত্রোপচার করে বাদ দেওয়ার জন্যই মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছিল শিশুটিকে। নির্দিষ্ট দিনে অস্ত্রোপচারও হয়।
অপারেশন থিয়েটার থেকে শিশুটিকে বের করতেই চমকে ওঠেন তাঁর মা-বাবা। দেখেন, আঙুল তো বাদ যায়ইনি, বরং শিশুটির জিভে অস্ত্রোপচার করেছেন চিকিৎসক। ভুল বুঝতে পেরেই অভিযুক্ত চিকিৎসক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি দাবি করেন যে, শিশুটির জিভে সিস্ট ছিল, অবিলম্বে তা অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল, সেই কারণেই তিনি অস্ত্রোপচার করেছেন। যদিও পরিবারের দাবি, শিশুটির জিভে কোনও সমস্যাই ছিল না। নিজেকে বাঁচাতে মিথ্যা বলছেন চিকিৎসক। তাঁর এই গাফিলতি এবং শাস্তি থেকে বাঁচতে মিথ্যাকে অত্য়ন্ত নিন্দাজনক বলেই উল্লেখ করেছেন তাঁরা।
এদিকে হাসপাতালের তরফে শিশুটির পরিবারকে জানানো হয়েছে যে, একই দিনে দুটি শিশুর অস্ত্রোপচার ছিল। সেই কারণেই এই মারাত্মক ভুল হয়েছে। গোটা ঘটনাকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা-অশান্তি ছড়ায়। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জের নির্দেশে ডিরেক্টর অব মেডিক্যাল এডুকেশন একটি রিপোর্ট জমা দেন এবং তার ভিত্তিতেই অভিযুক্ত চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পুলিশও শিশুটির অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির মামলা দায়ের করেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সমস্ত হাসপাতালকে অস্ত্রোপচার ও অন্যান্য মেডিক্যাল প্রসিডিওরের ক্ষেত্রে কড়া নির্দেশ মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।