লক্ষ্য এখন একটাই, আগামী নির্বাচন। চারিদিকে ভোটার দামামা বেজে গিয়েছে৷ তৎপরতা তুঙ্গে৷ এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরা নিয়ে জাগছে একাধিক প্রশ্ন। এগোতে পারা যাচ্ছে না, আবার পিছিয়েও আসা যাচ্ছে না! এক কথায় ত্রিপুরায় এমনটাই অবস্থা হয়েছে তৃণমূলের। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী সংখ্যাই সেকথা প্রমাণ করে। দীর্ঘদিন ধরে ত্রিপুরা নিয়ে তৃণমূল যতটা গর্জেছে তার ছিটেফোঁটাও যে বর্ষণ হয়নি সেটা স্পষ্ট।
প্রথমে তৃণমূল ত্রিপুরায় সংগঠনের গুরুদায়িত্ব দেয় কংগ্রেস ছেড়ে আসা সুবল ভৌমিককে। কিন্তু তার কিছুদিন পরেই সুবলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে তৃণমূলের। পরবর্তীকালে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। এরপর গত ডিসেম্বরে ত্রিপুরা তৃণমূলের সভাপতি নির্বাচিত হন পীযূষকান্তি বিশ্বাস। ধরে নেওয়া হয় তিনিই ত্রিপুরায় তৃণমূলের প্রধান মুখ হয়ে উঠবেন। তবে কি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তাঁকেই তুলে ধরা হবে?
পীযূষ একটা সময় ত্রিপুরা কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। কিন্তু পরে তাঁর সঙ্গে দূরত্ব বাড়ায়, তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তবে পীযূষের পুত্রকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। অন্যদিকে পীযূষের পাশাপাশি ত্রিপুরা কংগ্রেসের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক তেজেন দাস, অনন্ত বন্দোপাধ্যায়, কংগ্রেসের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি পূর্তিনা চাকমা, সমরেন্দ্র ঘোষ- সহ অনেকেই তৃণমূলে যোগদান করেছেন। কিন্তু এই নেতাদের এমন কোনও রাজনৈতিক উচ্চতা নেই যাতে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তাঁদের কাউকে তুলে ধরা যেতে পারে। এই অবস্থায় ত্রিপুরা নির্বাচনে তৃণমূল কতটা প্রাসঙ্গিকতা ধরে রাখতে পারে সেটাই শুধু দেখার।