তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে রাজ্যের মসনদে বসার আগে থেকেই সাধারণ মানুষের জন্য একাধিক প্রকল্পের সূচনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ঘোষণা অনুযায়ী রাজ্যের একাধিক সামাজিক প্রকল্প নজর কেড়েছে বিশ্বব্যাঙ্কের৷ কুড়িয়েছে প্রশংসা৷ পশ্চিমবঙ্গের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলিকে আরও উৎসাহিত করতে ১২ কোটি ৫০ লক্ষ ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় ১০০০ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের সিদ্ধান্ত নিল বিশ্বব্যাঙ্ক৷ রাজ্য সরকারকে চিঠি পাঠিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে৷ শনিবারই সেই চিঠি পৌঁছেছে নবান্নে৷ সেখানে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম৷
কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথীর মতো রাজ্য সরকারের সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে এটি একটি বড় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। এই ঋণ পেয়ে খুশি রাজ্য সরকার৷ রাজ্যে পালাবদল ঘটিয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরেই মহিলাদের ক্ষমতায়ন এবং সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে একাধিক প্রকল্পের সূচনা করেছিল রাজ্য সরকার। সরকারের দাবি, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, বা লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতো প্রকল্প মহিলাদের ক্ষমতায়নে সহায়ক হয়েছে৷ এই প্রকল্পগুলি যেমন মহিলাদের আয় সুনিশ্চিত করেছে, তেমনই নারী শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে বাল্যবিবাহ রোধ, সর্বোপরী সামগ্রিক অর্থনীতি সচল করার পথে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে৷
তৃতীয়বাহ ক্ষমতায় আসার পর বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে ঋণের আবেদন করা হয়েছিল৷ সে সময়ও রাজ্যের প্রকল্পগুলির ভূয়সী প্রশংসা করেছিল বিশ্বব্যাঙ্ক৷ বিশ্বব্যাঙ্কের তরফে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ৪০০ টিরও বেশি সামাজিক সহায়তা প্রকল্প চালু রেখেছে, যা সামাজিক নিরাপত্তা, সুরক্ষা নিশ্চিত করে। মহিলা-প্রবীণ ও তফসিলি উপজাতির কথা মাথায় রেখেই এই প্রকল্পগুলি আনা হয়েছে৷ বিশ্বব্যাঙ্কের ঋণে এই সামাজিক প্রকল্পগুলি আরও জোরদার হবে৷ বিশেষ করে ‘দুয়ারে সরকার’ -এর মতো কর্মসূচির আওতায় উপভোক্তারা দ্রুত পরিষেবা পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাঙ্কের এই সাহায্যের ফলে রাজ্যের দরিদ্র এবং দুর্বল মানুষ আরও বেশি করে রাজ্য সরকারের একাধিক পরিষেবার সুবিধা নিতে পারবে৷