সরব হলো মুকুলের পদ খারিজের দাবিতে

এইমুহুর্তে বহু জলঘোলা হচ্ছে মুকুলের বর্তমান পদ নিয়ে। বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত জানিয়েছেন যে, মুকুল রায় বিজেপিতে আছেন এবং নেতার আইনজীবীও একই দাবি করেছেন। কিন্তু বিজেপি তাঁর পদ কেড়ে নিতে কার্যত অনড়। তাদের বক্তব্য স্পষ্ট, বিজেপিতে মুকুল রায় নেই। তিনি বিজেপি নেতা নন। এই ইস্যুতে ফের কলকাতা হাইকোর্টে আওয়াজ তুললেন বিজেপির আইনজীবী। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে মুকুল রায়ের দুই পদ খারিজের আবেদন করেছেন বিজেপির আইনজীবী।

আদালতে আইনজীবীর সাফ বক্তব্য, মুকুল রায় বিজেপিতে নেই তাই তাঁর বিধায়ক পদ এবং বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান পদও খারিজ করা হোক। এই আবেদনে সাড়া দিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হলফনামাও তলব করেছে। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে বিধানসভার স্পিকারকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর আগে এই একই দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছিল যে এই সংক্রান্ত মামলা মীমাংসা করতে হবে হাইকোর্টেই। সেই নির্দেশ মেনেই ফের হাইকোর্টের দারস্থ হয় গেরুয়া বাহিনী। বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই এই ইস্যু নিয়ে কার্যত তোলপাড় হয় বাংলা। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি নিয়ে সবথেকে আগে আওয়াজ তোলেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসে ‘যোগ’ দিতে দেখা যায় মুকুল রায়কে। কিন্তু পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান ইস্যু নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ার পর মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ নিয়ে টানাটানি শুরু হয়। বিজেপি দাবি করে, মুকুল রায় এখন তৃণমূলে, তাই তাঁর ওই পদ খারিজ করতে হবে। কিন্তু মুকুল রায়ের আইনজীবী এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে বিধানসভার স্পিকার সম্পূর্ণ অন্য কথা বলেন। সম্প্রতি আবার পুরভোটে জিতে মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু বলেছিলেন, বিজেপিতে যাওয়া তাঁর ভুল হয়েছিল।