জয় হলো প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর

বিগত বছরে স্বেচ্ছায় নিজ পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন অর্পিতা ঘোষ। অর্পিতা ঘোষের ছেড়ে যাওয়া আসনে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের প্রাক্তন নেতা লুইজিনহো ফেলেইরিওকে প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ী হলেন তিনি। সোমবার ছিল প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন পর্যন্ত আর কোনও প্রার্থী মনোনয়ন না দেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেলেন তৃণমূলের লুইজিনহো। এই নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি বিজেপি।  

চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন অর্পিতা ঘোষ। তিনি জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব তিনি দলীয় সংগঠনে আরও জোর দিয়ে কাজ করতে চান। যদিও তাঁর এই ইস্তফা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি। তবে সে নিয়ে বেশি বিতর্ক হয়নি। এখন তাঁর আসনের রাজ্যসভায় এলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো। প্রসঙ্গত, গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের এই নেতা সম্প্রতি কলকাতায় এসে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন।

অন্যদিকে, এখন অর্পিতা ঘোষ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। তিনি বরাবর মমতা ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত৷ ২০১৪ সালে বালুরঘাট থেকে তাঁকে জিতিয়ে সংসদে পাঠানো হয়েছিল৷ কিন্তু ২০১৯ সালে বিজেপি ঝড়ে তিনি বালুরঘাট থেকে হেরে যান৷ তবে তাঁকে খালি হাতে ফেরায়নি দল৷ ২০২০ সালে ফের রাজ্যসভায় পাঠানো হয় তাঁকে৷ ২০২৬ পর্যন্ত সাংসদ পদের মেয়াদ ছিল অর্পিতার৷ কিন্তু তার আগেই হঠাৎ তিনি পদ থেকে ইস্তফা দেন। 

ইতিমধ্যেই গোয়ায় সংগঠনে মন দিয়েছে ঘাসফুল শিবির। লুইজিনহো ফেলেইরিও ছাড়াও একাধিক নামজাদা তারকা যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। আবার কংগ্রেসের অনেক কর্মী, সদস্যরাও নাম লিখিয়েছেন মমতার দলে। সব মিলিয়ে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি তুঙ্গে ঘাসফুল বাহিনীর। উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের পাশাপাশি পঞ্জাব, উত্তরাখণ্ড, গোয়া ও মণিপুরে বিধানসভা ভোট আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে।

Leave a Reply