বিগত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে করোনা আবহে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলির ফিস নিয়ে অভিযোগ উঠেছে বারংবার। স্কুলগুলিতে যদি ফিস দিতে না পারেন অভিভাবকরা সে ক্ষেত্রে কোনও ছাত্র বা ছাত্রীকে পরীক্ষা বসা থেকে বিরত করা যাবে না। অ্যাডমিট কার্ড বা রেজাল্ট আটকানো যাবে না। এমনই নির্দেশ বিচারপতি ইন্দ্র প্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের। পাশাপাশি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বেসরকারি স্কুল গুলির ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠনে কোন রকম যাতে ব্যাঘাত না ঘটে তা নিশ্চিত করতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষগুলিকে।
বেসরকারি স্কুলগুলোতে ছাত্রছাত্রীরা যথাসময়ে স্কুলের ফিস জমা দিতে না পারলেও তাদের পরীক্ষায় বসা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলাকালীন অ্যাডামাস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলকে আদালত জানায়, স্কুলের প্রিন্সিপালকে রাজ্যের শিশু সুরক্ষা ও মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যে সমস্ত অভিভাবকেরা এই স্কুলের ফ্রিজ দিতে পারছেন না তাদের বাচ্চাদেরও স্কুলে পঠন-পাঠনের সম্পূর্ণভাবে সুবিধা দিতে হবে। এই ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে বারংবার তলব করা হয় অ্যাডামাস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপালকে। এদিকে, ছাত্র-ছাত্রীরা এই ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছে।
তবে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের হয়ে স্কুলের পক্ষ থেকে আইনজীবী আদালতে পুলিশি হস্তক্ষেপের দাবি করলে, বিচারপতি ইন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয় যে, এখনই পুলিশি তলবে হাজিরার প্রয়োজনীয়তা নেই স্কুলের প্রিন্সিপালের। আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত প্রিন্সিপালের হাজিরার প্রয়োজনীয়তা নেই। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১৭ ডিসেম্বর।