দু বছরের ক্ষতিপূরণের সময়সীমা বারো বছর

বিগত দু বছরে গোটা বিশ্ব তান্ডব চালিয়েছে করোনা সংক্রমণ। করোনা ভাইরাস যে সর্বস্তরে ক্ষতি করে দিয়েছে তা বলতে কোনও বাধা নেই। কর্মক্ষেত্রে হোক, শারীরিক ক্ষেত্রে হোক কিংবা অর্থনীতি, সবেতেই করোনার কোপ পড়েছে। কিন্তু বছর দুয়েক কেটে যাওয়ার পর এখন ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার দিকে যাচ্ছে বলে অনুমান। যদিও এখনও নতুন ঢেউয়ের আশঙ্কা আছে, কিন্তু তার প্রভাব আগের মতো ভয়ঙ্কর হবে না বলেই দাবি করা হচ্ছে। সুতরাং অনুমান, আস্তে আস্তে সব ধরণের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তবে অর্থনীতি কতদিনে ঠিক হবে? এই প্রশ্ন একটা স্পষ্ট জবাব দিয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

২০২০ সাল থেকে প্রায় দেড় বছর সবকিছুর ওপর বড় প্রভাব পড়েছিল ভাইরাসের কারণে। কোভিড ও লকডাউনের জন্য বেশিরভাগ পরিষেবা বন্ধ ছিল, কাজ ছিল না। হোটেল, পরিবহণ, যোগাযোগ ব্যবস্থা সব ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে বলা যায়, অর্থনীতিই সবথেকে বেশি প্রভাবিত হয়েছে এর কারণে। এই প্রেক্ষিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানাচ্ছে, কোভিডের ফলে অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ হতে আরও ১২ বছর লাগবে! যে ক্ষতি হয়েছে গত দু’বছর ধরে তা পুরণ হতে হতে প্রায় ২০৩৫-৩৬ সাল হয়ে যাবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ‘কারেন্সি অ্যান্ড ফিনান্স’ রিপোর্টে বলেছে, সব ক্ষেত্রে অর্থনীতি সমান ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি এখনও। তবে এই সময়ে শুধু কোভিড নয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধও দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলছে।

ব্যাঙ্কের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, এই সময়ে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি ৬.৫ থেকে ৮.৫ শতাংশের মধ্যে থাকবে। অন্যদিকে জিডিপি’র তুলনায় সরকারি দেনার হার এখন ৯০ শতাংশ, যা কমিয়ে আনা জরুরি বলেই মনে করছে তারা। হিসেব করে দেখানো হয়েছে যে, এই পরিমাণ অন্তত ৯০ শতাংশ থেকে ৬০ শতাংশে আনতে হবে। আসলে আর্থিক বৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়ে গিয়েছে দেশে। সেটাকে আগে ঊর্ধ্বমুখী করতে হবে।