সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে বাড়ানো হলো রেলের সময়সীমা

করোনা সংক্রমণের আবহে দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল রেল পরিষেবা। বঙ্গের সংক্রমণ কিছুটা আয়ত্তে আশায় সাধারণ মানুষের কথা ভেবে শিথিল করা হয়েছে এই নিয়ম। চালু করা হয়েছে রেল পরিষেবা। সংক্রমণ আয়ত্তে আশায় রাজ্যে করোনা বিধিনিষেধও কিছুটা শিথিল হয়েছে। এই আবহে ধাপে ধাপে ট্রেন পরিষেবা আবার আগের মতো জায়গায় আনার পরিকল্পনা চলছে। তাই লোকাল ট্রেনের সময় সূচি বদল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জানান হয়েছে, এবার থেকে শেষ লোকালের সময় বাড়ানো হচ্ছে।

বিধিনিষেধের মধ্যে এতদিন রাত ১০ টায় ছিল শেষ লোকাল ট্রেন। এবার থেকে রাত ১০ টার বদলে রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে লোকাল ট্রেন। আপাতত রাতে স্পেশাল ট্রেন নাম দিয়ে লোকাল চালাত রেল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখন থেকে সাধারন যাত্রীদের জন্যই সেই ট্রেন চলবে। যদিও যাত্রীদের উদ্দেশ্যে রেল কর্তৃপক্ষের পরামর্শ, তারা যেন সকলেই করোনা বিধি মানেন এবং সেই নিয়ম পালন করেই ট্রেনে ওঠেন। গত জানুয়ারি মাসে নবান্নের তরফে একবার জানান হয়েছিল, সন্ধ্যে ৭ টার পর ট্রেন চলবে না। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের পর চাপানউতোর সৃষ্টি হয়েছিল। সরকারি অফিসের কর্মীরা বাড়ি ফিরতে পারলেও, অনেকে মনে করছিলেন যে বেসরকারি কর্মীরা বাড়ি ফেরার সময় সমস্যায় পড়বেন। পরে অবশ্য সেই সময় বদলানো হয়। এখন আরও বেশি সুবিধা পাবেন যাত্রীরা।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে সিনেমা, রেস্তরাঁ, বার, জিম থেকে শুরু করে অডিটোরিয়াম সবক্ষেত্রে উপস্থিতিতে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছে। সরকারি এবং বেসরকারি অফিসের ক্ষেত্রেও এই একই নিয়ম কার্যকর হয়েছে। বিভিন্ন সামজিক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রেও বিধি শিথিল করে ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি করার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে রাস্তার মিটিং-মিছিলে তিনি কোনও ছাড় দেননি। সেটা আগের মতো ২০০ জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে হবে বলেই ঘোষণা করেছেন তিনি। পাশাপাশি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, রাজ্যে বিধিনিষেধ আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বহাল থাকছে। রাত্রীকালীন কার্ফু রাত ১১ টার পরিবর্তে ১২ টা থেকে শুরু হবে, চলবে ভোর ৫ টা পর্যন্ত।