পঞ্জশিরের কাছে বড় ধাক্কা পেলো তালিবানরা

আফগানিস্তান দখলের পর এবার নজরে পঞ্জশির। পঞ্জশির দখল করতে উদ্যোগী হয়েছে তালিবান গোষ্ঠী। কিন্তু এই তৎপরতার বিরুদ্ধে বার বার মুখ থুবড়ে পড়তে হচ্ছে তালিবান গোষ্ঠীকে। গতকাল রাতে হামলা করতে আসা ৩৫০ তালিবানকে নিকেশ করেছে নর্দান অ্যালায়েন্স। শুধু তাই নয়, তালিবানদের সঙ্গে লড়াইয়ে জয় হাসিল করার পর নর্দান অ্যালায়েন্স বহু মার্কিন বাহন আর হাতিয়ার বাজেয়াপ্ত করেছে। ৪০-র বেশি তালিবানিকে তাঁরা বন্দি বানানোর দাবি করেছে। এমনই দাবি করল মাসুদ বাহিনী। তালিবান পঞ্জশির উপত্যকায় ঢোকার চেষ্টা করতেই মাসুদের সেনা হামলা চালায়। দুই পক্ষের গোলাগুলিতে তালিবানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

আফগানিস্তানের অধিকাংশ প্রদেশ দখল করে নেওয়ার পর ব্যাপক উচ্ছ্বসিত হয়েছিল তালিবান, তবে তাদের উৎসাহ আরো বেশী ছিল গতকাল কারণ মার্কিন সেনা সম্পূর্ণভাবে আফগানিস্তান ছেড়ে চলে গেছে। কিন্তু আফগানিস্তানের একটি প্রদেশ তাদের সব উচ্ছ্বাসের আগুনে জল ঢেলে দিচ্ছে। সেটি হল পঞ্জশির। বারংবার এই প্রদেশ দখল করার চেষ্টা করেছে তালিবান কিন্তু সফল হয়নি। এখনো পর্যন্ত এই প্রদেশ ঢুকতে পারেনি তারা। এবার পঞ্জশিরের আহমেদ মাসুদের নেতৃত্বে নর্দান অ্যালাইন্স দাবি করলো যে তারা ইতিমধ্যেই সাড়ে ৩০০ তালিবানদের খতম করতে পেরেছে, এবং এখন তাদের কাছে বন্দি রয়েছে ৪০ তালিবান যোদ্ধা। ইতিমধ্যেই এই কথা জানিয়ে টুইট করেছে নর্দান অ্যালায়েন্স।

মার্কিন সেনা সরতে শুরু করার পরই দ্রুত আফগানিস্তান দখল করে তালিবান। কিন্তু মসনদে বসেও তাদের অধরা রয়ে গিয়েছে পঞ্জশির। দুর্গম এই পাহাড়ি উপত্যকা এখনও বশ্যতা স্বীকার করেনি তালিবানের কাছে। আহমেদ মাসুদের নেতৃত্বে লাগাতার লড়াই যাচ্ছে তারা। তালিবান জঙ্গিদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষে ফের একবার পর্যদুস্ত জেহাদিরা। অন্তত তেমনটাই দাবি নর্দান অ্যালায়েন্সের।

পঞ্জশির চিরদিনই তালিবানদের শক্ত গাঁট হিসাবে থেকে গিয়েছে। এর আগে ৯৬-এ যখন গোটা আফগানিস্তান প্রায় তালিবানদের দখলে, তখনও পঞ্জশিরে নিজেদের আধিপত্য ধরে রেখেছিল স্থানীয় নেতা তথা ভারতের বন্ধু আহমেদ শাহ মাসুদের বাহিনী। ২০০১ সালে আল-কায়দা জঙ্গিদের হাতে খুন হতে হয় আহমেদ শাহ মাসুদকে। কিন্তু তারপরও পঞ্জশির দখল করতে পারেনি তালিবানরা। উলটে, মার্কিন সেনার সঙ্গে হাত মিলিয়ে আফগানিস্তানকে তালিবান মুক্ত করার কাজে হাত লাগিয়েছিল আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমেদ মাসুদের বাহিনী।

Leave a Reply