সদ্য মাত্রই সমাপ্ত হয়েছে রাজ্যের উপনির্বাচন, প্রকাশিত হয়েছে তার ফলাফলও। উপনির্বাচনেও বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন রাজ্যের শাসক দল। এবার পালা শপথ নেওয়ার। রাজ্য সরকার সদ্য সমাপ্ত চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী বিধায়কদের শপথ নেওয়ার দিনক্ষণ ঘোষণা করে দিল। আগামীকাল ৯ নভেম্বর শপথ করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। রাজ্য বিধানসভায় তাঁদের শপথ বাক্য পাঠ করানো হবে। তবে কে তাদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন তা নিয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে বিধানসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, সদ্যসমাপ্ত দিনহাটা, খড়দহ, শান্তিপুর এবং গোসাবা এই চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনেই তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা জয়ী হন।
ছয় মাসের মধ্যেই রাজ্যে বিজেপির অবস্থান আরও বেশি খারাপ হয়ে গিয়েছে। ২০০ আসনের লক্ষ্যে ভোটে নামা বিজেপি ৭৭ আসনে আটকে যায়। এরপর মোট ৫ উপনির্বাচন এবং ২ লোকসভা নির্বাচনে গোহারা হেরেছে তারা। সদ্য সমাপ্ত উপনির্বাচনে শান্তিপুর বাদে আর বাকি তিন কেন্দ্র অর্থাৎ গোসাবা, দিনহাটা ও খড়দহে বিজেপি প্রার্থীর জামানত জব্দ হয়েছে৷ দিনহাটায় তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ পেয়েছেন ৮৪ শতাংশ ভোট৷ সেখানে দিহাটার বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডল পেয়েছেন ১১ শতাংশ ভোট৷ খড়দায় বিধানসভা কেন্দ্রে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পেয়েছেন ৭৪ শতাংশ ভোট৷
এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী জয় সাহা পেয়েছেন মাত্র ১৩ শতাংশ ভোট৷ গোসাবায় তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মণ্ডল পেয়েছেন ৮৭ শতাংশ ভোট৷ সেখানে বিজেপি প্রার্থী পলাশ রানা পেয়েছেন ১০ শতাংশ ভোট৷ শান্তিপুরে তৃণমূল প্রার্থী ব্রজ কিশোর গোস্বামী পেয়েছেন ৫৫ শতাংশ ভোট৷ এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস পেয়েছেন ২৩ শতাংশ ভোট৷ অর্থাৎ শান্তিপুর বাদে বাকি তিন কেন্দ্রেই বিজেপি’র জামানত জব্দ৷
ছ’ মাস আগেও দিনহাটা ও শান্তিপুর ছিল বিজেপির দখলে৷ কিন্তু ছ’মাস পর এই দুই কেন্দ্রে বদলে গেল ফুল৷ পদ্ম নয়, ফুটল জোড়া ফুল৷ এমনকী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক যে বুথের ভোটার, সেই বুথে মাত্র ৯৫ ভোট পেয়েছে বিজেপি৷ অন্যদিকে লাল বাহাদুর শাস্ত্রী বিদ্যালয়ের এই বুথে তৃণমূল পেয়েছে প্রায় চারগুণ বেশি ভোট৷ মুখ পুড়েছে উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডলের বুথেও৷ ওই বুথে বিজেপি পেয়েছে মাত্র ১৫৬ ভোট। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছে ৪৬০ ভোট।