আরো একবার বেজেছে ভোটের দামামা। বহু টালবাহানার পর সদ্য মাত্রই নির্বাচন কমিশনের তরফে ঘোষিত হয়েছে রাজ্যে পুরভোটের সময়সীমা। চলতি মাসের ১৯ তারিখ রয়েছে কলকাতায় ভোট। কিন্তু এখন সেই নির্বাচন নিয়েও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হল কারণ ইতিমধ্যে নির্বাচন স্থগিত করার আবেদন জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বড় অভিযোগ করছেন বিজেপির আইনজীবী। তাঁর কথায়, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উদাসীনতার কারণেই পিছিয়ে গেছে নির্বাচন। একই সঙ্গে রয়েছে রাজ্যের চাপ।
কলকাতা হাইকোর্টে এই ইস্যুতে বিজেপি আইনজীবী কিছু প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি জানতে চেয়েছেন, দেড় বছর সময় ছিল কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে তখন কেন তাঁরা ইভিএম তৈরি রাখলেন না? এখন কেন তাঁরা বলছেন পরিকাঠামোর অভাব? যদি কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন করোনা আবহে ভোট করতে পারে তাহলে কেন রাজ্য নির্বাচন কমিশন করতে পারল না। এই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। এই বিষয়ে তিনি আরও জানিয়েছেন, গত ৬ মে কলকাতা পুরসভা ছাড়াও রাজ্যের অনেকগুলো পুরসভার ৫ বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রশাসক বসিয়ে সচল রাখার চেষ্টা করেছিল।
প্রায় দেড় বছর ধরে প্রশাসক পুরসভাগুলোয় কোনও নির্বাচন হয়নি। মাঝে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন পরে উপনির্বাচন করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। ওদিকে, গোয়া পুরনিগম নির্বাচন এক সাথে হয়েছে। সম্প্রতি ত্রিপুরায় ৩৩৪ আসনে নির্বাচন হয়ে গেল। তাহলে এ রাজ্যে ক্ষেত্রে এত গড়িমসি করছে কেন রাজ্য নির্বাচন কমিশন? এক্ষেত্রে তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, রাজ্যের চাপেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার পর ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে। এদিকে এও জানা গিয়েছে যে আগামী বছরের শুরুর দিকেই হয়তো বাকি পুরসভার নির্বাচন হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে এপ্রিল মাস অব্দি সময় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন ফের একবার নির্বাচন স্থগিত করার আবেদন জানানো হয়েছে তাই ডিসেম্বরের কলকাতা নির্বাচন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে কিছুটা। এই প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট কী নির্দেশ দেয় এখন তার দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।