পূর্বে আশা করা হয়েছিল যে দীর্ঘ সময় পর আজে বৈঠকে মুমখোমুখি হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কিন্তু আদতে সফল হলো না সেটি। নবান্নে আজ হয়েছে লোকায়ুক্ত নিয়োগের বৈঠক। পাশাপাশি তথ্য কমিশন এবং মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়োগের জন্যও বৈঠক হয়েছে। অনেক আগেই এই তথ্য জানা গিয়েছিল পাশাপাশি এও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল যে এই বৈঠকেই মুখোমুখি হতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তা হল না। কারণ আজকের এই বৈঠকে যাননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন দুপুর ১ টানা নাগাদ এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তাঁকে চিঠি পাঠিয়ে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন খোদ স্বরাষ্ট্রসচিব। অনেকেই মনে করেছিলেন, বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে থেকে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল মমতা এবং শুভেন্দুর মধ্যে, তা হয়তো আজ ঘুচে যাবে। দীর্ঘ আক্রমণাত্মক আচরণ থেকে একটু পাশ কাটিয়ে নবান্নে বৈঠকে যোগ দেবেন শুভেন্দু। কিন্তু সেটা আজও হল না। টুইট করেই এদিন বিজেপি বিধায়ক জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি বৈঠকে যাবেন না। বিষয় হল, রাজ্য স্তরে লোকায়ুক্তের মতো সাংবিধানিক পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা এবং বিধানসভার অধ্যক্ষ।
তবে দু’জন থাকলেও এলেন না শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু কেন এলেন না তিনি? এই বৈঠক সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে আগে তিনি সরকারকে খোঁচা দিয়ে জানিয়েছিলেন, ‘তাদের টনক নড়েছে’। কিন্তু আজ বৈঠকের দিনেই তিনি গড়হাজির। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার নানা ইস্যুতে অসহযোগিতা করেছে, রাজ্যপালের নির্দেশ মানা হয়নি। এই কারণেই তিনি সেখানে যাচ্ছেন না।