ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছে রাজ্য

বিরাট স্বস্তি মিললেও রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমনের সংখ্যায়। মৃত্যুও তুলনায় অনেকটাই কমেছে আজ। কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত অনেকটাই কমেছে তুলনায় যা স্বস্তির ব্যাপার। অন্যান্য জেলাগুলিতেও সংক্রমণ বলতে গেলে প্রায় তলানিতে। এদিকে আজ রাজ্যের পজিটিভিটি রেট ১ শতাংশের নীচে চলে গিয়েছে। এদিকে সুস্থতার হার ৯৮.৫৭ শতাংশ।

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩১৯ জন। সংক্রমিত জেলাগুলির মধ্যে আজ আবার প্রথম স্থানে উত্তর ২৪ পরগনা। নতুন করে সেখানে সংক্রমিত যথাক্রমে ৪১ জন। কলকাতা দ্বিতীয় স্থানে, সেখানে আক্রান্ত ৩৮ জন। সব মিলিয়ে রাজ্যের মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০ লক্ষ ১২ হাজার ৭৯৪ জন। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। মোট মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ১০৭ জনের।

অন্যদিকে, একদিনে করোনাকে পরাস্ত করে ঘরে ফিরেছেন ১ হাজার ৩৪৬ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১৯ লক্ষ ৮৩ হাজার ৯৫১ জন। রাজ্যে ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্কুল। কোভিড বিধি মেনেই এই স্কুল চলবে বলে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। প্রায় ২ বছর পর রাজ্যে খুলেছে প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক স্কুল। পাশাপাশি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, রাজ্যে বিধিনিষেধ আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বহাল থাকছে।

এদিকে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ স্কিম’-এর আওতায় আউটডোর চিকিৎসায় যুক্ত হয়েছে কোভিড-১৯। সরকারি কর্মীরা এবার করোনা আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে চিকিৎসা করালে তার খরচ দেবে রাজ্য সরকার। আজ অর্থ দফতর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তা জানানো হয়েছে। সরকারের স্বাস্থ্য বীমার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হাসপাতালগুলিতে কোভিড চিকিৎসার জন্য আউটডোরে গিয়ে চিকিৎসা করালে তার সমস্ত খরচ দেবে রাজ্য সরকার। এতদিন আউটডোরে ১৬ টি রোগের চিকিৎসার খরচ দিতে সরকার। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হল কোভিড-১৯।