বাড়ানো হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা, গঠিত হচ্ছে বিশেষ তদন্তকারী দল

তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তার নিরাপত্তা সবার আগে। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে থাকেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এতো নিরাপত্তার মাঝেও আচমকাই এক অগ্যেত ব্যক্তির তার বাড়িতে আগমন ঘটায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজ্যজুড়ে। মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে আগুন্তুক ঢুকে পড়া এবং সাত ঘণ্টা সেখানে ঘাপটি মেরে থাকার ঘটনায় তোলপাড় প্রশাসনিক মহল৷

কী ভাবে বজ্র আঁটুনি ভেদ করে ওই আগুন্তুক মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়লেন তা খতিয়ে দেখতে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করল কলকাতা পুলিশ৷ পাশাপাশি ঢেলে সাজানো হল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷ 

মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক ছিল কিনা, সেটাই খতিয়ে দেখবে সিট৷ এমনটাই লালবাজার সূত্রের খবর৷ সিটের নেতৃত্বে থাকবে কলকাতার যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) মুরলীধর শর্মা। এছাড়াও দলে থাকবেন স্পেশাল টাস্ক ফোর্স-এর ডেপুটি কমিশনার, গোয়েন্দা বিভাগের ডেপুটি কমিশনার (স্পেশাল)-সহ কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স এবং গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা৷

নিরাপত্তা আরও আঁটসাট করতে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পিছন দিকে বাউন্ডারি বরাবর ১৩-১৪ ফুটের অ্যালুমিনিয়াম সিট দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে৷ এতদিন সেখানে শুধুই কংক্রিটের দেওয়াল ছিল৷ তার উপর অ্যালুমিনিয়ামের সিট দেওয়া থাকলে তার উপর দিয়ে সহজে কেউ উঠতে পারবে না৷ 

এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বাড়ি সংলগ্ন দুটি ওয়াচ টাওয়ার বসানো হচ্ছে৷ একটি ওয়াচ টাওয়ার বসছে আলিপুর জেলের গা ঘেঁষে, অন্যটি বসছে বলরাম ঘাটের দিকে৷ এবার থেকে প্রতি শিফটে ২০ জন করে পুলিশ কর্মী থাকবেন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির পাহারায়৷ সিসিটিভি দিয়ে আরও ক্লোজ মনিটর করা হবে৷  মঙ্গলবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা। ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তার স্বার্থে গুচ্ছ পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করা হয়।