রাজ্যে এখন জারি রয়েছে করোনার বিধি নিষেধ। এরই মাঝে আসন জগদ্ধাত্রী পুজো। গত মাসে রাজ্য সরকার করোনাভাইরাস বিধি নিষেধ জারি করেছিল কিন্তু দুর্গা পুজোর সময় নৈশ কার্ফু তুলে নেওয়া হয়েছিল বেশ কয়েক দিনের জন্য। এবার চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোতেও থাকছে না নৈশ কার্ফু। এমনটাই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। নির্দেশিকা জারি করে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে যে আগামী ১২ এবং ১৩ নভেম্বর রাতের কার্ফু তুলে নেওয়া হচ্ছে। এদিকে আবার ছট পুজোর জন্যও রাতের কার্ফু শিথিল করেছে রাজ্য সরকার।
সরকারি নির্দেশিকা স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ১০ এবং ১১ তারিখ ছট পুজোর জন্য রাতের বিধি-নিষেধ শিথিল করা হচ্ছে। তবে বাকি দিনগুলোতে আগের মতই নিয়ম বজায় থাকবে। তবে গতকাল পর্যন্ত জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে কোন নির্দেশিকা আসেনি তাই মনে করা হয়েছিল যে রাতের বিধি নিষেধ তুলে নেওয়া হবে না। পুজোর অষ্টমী, নবমী এবং দশমীতে রাতের কার্ফু বজায় থাকবে বলেই ধরে নিয়েছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
যদিও ছট পুজোর কথা মাথায় রেখে যে রাতের কার্ফু তুলে নেওয়া হয়েছে সেই দুদিন জগদ্ধাত্রী পূজার ষষ্ঠী এবং সপ্তমী। তাই স্বাভাবিকভাবে এই দুদিন নাইট কার্ফু থাকছে না। তবে বাকি দুদিন কী হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল কিন্তু এখন নবান্নের নির্দেশিকায় পুরোটাই পরিষ্কার হয়ে গেছে। যদিও বাকি সমস্ত নিয়ম মানতে হবে বলেই স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে।
দুর্গা পুজোর সময় যেভাবে নিয়ম পালন করে পুজো করা হয়েছে জগদ্ধাত্রী পুজোতেও অবশ্যই নিয়ম মেনে পুজো করতে হবে বলে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনও ভাবেই ভিড় করা যাবে না এবং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। প্রশাসনিক কর্তাদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে অসচেতনতার সঙ্গে কাজ করতে হবে বলে আবেদন জানানো হয়েছে।