পুনর্নির্বাচন কতটা শান্তিপূর্ণ হবে সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

নির্বাচন শুরু থেকেই একাধিক প্রশ্ন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে পূর্ব নির্ধারিত সময়েই রাজ্যে সম্পন্ন হয়েছে পঞ্চায়েত ভোট। গণতন্ত্রের উৎসব! তবে এই গণতন্ত্রে উৎসব যেন ক্রমশ্যই রূপ নিচ্ছে বিভীষিকার। উত্তর থেকে দক্ষিণ সবমিলিয়ে মোট ৬৯৬টি বুথে একেবারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে হয়েছে ভোটগ্রহণ। দার্জিলিং, কালিম্পং এবং ঝাড়গ্রাম ছাড়া রাজ্যের বাকি প্রত্যেকটি জেলার একাধিক বুথে চলছে পুনর্নির্বাচন।

প্রসঙ্গত, রবিবার রাত সাড়ে ৯টার সময় সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয় পুনর্নির্বাচনের কথা। কোচবিহার ৫৩টি, আলিপুরদুয়ার ১টি, জলপাইগুড়ি ১৪, উত্তর দিনাজপুর ৪২, দক্ষিণ দিনাজপুর ১৮, মালদা ১০৯, মুর্শিদাবাদ ১৭৫, নদীয়া ৮৯, উত্তর ২৪ পরগনা ৪৬, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ৩৬, হুগলী ২৯, হাওড়া ৮, পূর্ব মেদিনীপুরে ৩১, পশ্চিম মেদিনীপুর ১০, পুরুলিয়া ৪, বাঁকুড়া ৮, পূর্ব বর্ধমান ৩, পশ্চিম বর্ধমান ৬ এবং কেষ্ট গড় বীরভূমে ১৪টি আসনে হচ্ছে পুনর্নির্বাচন।

কমিশন প্রথমে প্রতি বুথে হাফ সেকশন বাহিনী মতায়নের কথা বললেও পরে তা বাড়ানো হয়। প্রসঙ্গত, শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের দিনই চলে গিয়েছে ১৪ টি তরতাজা প্রাণ। তার একদিন পরেই সোমবার এই পুনর্নির্বাচন কতটা শান্তিপূর্ণ হয় সেটাই দেখার।