প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে রাজ্যের আবহাওয়া। আলু চাষের শুরু থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ চরম বাধা সৃষ্টি করেছে এই চাষে। কৃষকরা জানাচ্ছেন, অন্যান্য বছর দুর্গা পুজোর সময় বাজারে চলে আসে নতুন আলু, কিন্তু এখনও সেই আলু তাঁরা এই বছর ফসল ঘরে তুলছেন এখন। তার কারণ, কয়েকদিন আগেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে প্রচুর বৃষ্টি আর তাতেই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল সেই সমস্ত আলু।
কিন্তু ধারদেনা করে চাষিরা ভেবেছিলেন তাঁরা হয়তো আবার ঘুরে দাঁড়াবেন। তাই নতুন করে আবার তাঁরা আলু লাগিয়েছেন নাবি করে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর দাম বেশ খানিকটা বেশি থাকলেও দেরিতে চাষের জন্য ফলন একেবারেই কম। বর্তমানে মাঠ থেকে কৃষক দাম পাচ্ছেন ৮০০ টাকা প্রতি ৫০ কেজির বস্তা, বাজারে খুচরা আলু প্রতি কেজি কুড়ি টাকার কাছাকাছি। অন্যান্য বছর যা বস্তাপ্রতি দাম থাকে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে। তবে প্রতিফলন হিসেবে ১০০ বস্তা বা তার বেশি ও ফলন পেয়েছেন তারাই।
অথচ এবার মাত্র ৫০-৬ বস্তা করে ফলন পাচ্ছেন৷ ফলে সাধারণমানুষের অত্যাবশ্যকীয় আনাজ হিসাবে আলুর জোগানে ঘাটতি দেখা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ ফলে আরও বাড়তে পারে আলুর দাম৷ কিন্তু এই বর্ধিত মূল্য কৃষকরা কোনভাবেই পাননা সেটাও জানালেন তারা। তারা বলেন, হিমঘরে রাখা ব্যবসায়ীরা এই মুনাফা ভোগ করে সর্বদা। ওষুধ সার শ্রমিকের যে পরিমাণ মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে তা জোগাড় করতে জমি থেকে বেচা ছাড়া অন্য উপায় থাকে না। নদিয়ার দুপুর ব্লকের গয়েশপুর, হিজুলি মাঠের কৃষকরা এমনটাই জানালেন আমাদের। তাঁদের কথায়, ‘‘প্রশাসন সক্রিয় হলে আমরা দাম পাব৷ তা না হলে দালালেই সব ভোগ করবে৷ মধ্যবিত্তের হাত পুড়বে আলু কিনতে৷ আর গায়ে গতরে খেটেও আমরা রয়ে যাব বঞ্চিতের তালিকায়৷’’