পেছানো হলো না পুরভোটের সময়সীমা

অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান হলো। বাড়তে থাকা করোনা আবহেই বহু টালবাহানার পর অবশেষে ঘোষিত হলো বাকি পুরভোটের দিনক্ষণ। আগামী মাসেই ১০৮ টি পুরসভার নির্বাচন হতে চলেছে বলে রাজ্য নির্বাচন সূত্রে খবর। ভোটের দিনক্ষণ পিছোচ্ছে না বলেই স্পষ্ট করা হয়েছে। অর্থাৎ ২৭ ফেব্রুয়ারি এই পুরভোট হতে চলেছে এমনটাই খবর। এই নিয়ে আগামী ৩ তারিখ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারে কমিশন বলে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। রাজ্য বিজেপি এই ভোট পিছতে আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশন সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।

বিজেপির তরফ থেকে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল যে, রাজ্যের একাধিক জেলায় করোনা পরিস্থিতি এখনও ঠিক নেই। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তাই পুরভোট যেন পিছিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তা হচ্ছে না বলেই স্পষ্ট করে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, আজ নির্বাচন কমিশনের দফতরে বিজেপির এক প্রতিনিধি দল গিয়েছিল এবং তারা স্মারকলিপি জমা দেয়। তাদের দাবি ছিল ২৭ ফেব্রুয়ারির ভোট পিছনো হোক অন্তত এক মাস। এছাড়াও ১২ ফেব্রুয়ারি যে ভোট রয়েছে তার যে গণনা ১৪ ফেব্রুয়ারি তাও পিছিয়ে দেওয়া হোক। যতদিন না পর্যন্ত সব পুরসভার ভোট হচ্ছে ততদিন যেন গণনা না হয়। কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশন বিজেপির এই আর্জি গুরুত্ব দেয়নি এবং খারিজ করে দিয়েছে। ভোট পিছনোর কোনও সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

উল্লেখ্য, ২২ জানুয়ারি ভোট হওয়ার কথা ছিল বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল এবং চন্দননগর পুরসভার। রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট দিনে ভোট করাতে অনড় ছিল। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করে এবং ভোট পিছনো যায় কিনা সেই ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে জানাতে বলে। তারপরেই তিন সপ্তাহ পিছিয়ে গিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট হবে। তবে ২৭ ফেব্রুয়ারি ১০৮ পুরসভার ভোট পিছবে না বলেই মোটামুটি নিশ্চিত।

Leave a Reply