সুপ্রিম কোর্টের তরফে সবুজ সংকেত মিললো মন্দিরের আর্জিকে

অবশেষে স্বীকৃতি মিললো মন্দিরের আর্জি। জগন্নাথ মন্দির করিডোর নির্মাণে সবুজ সঙ্কেত দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি এই করিডোর নির্মাণের কাজ স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়ে একটি পিটিশন জমা পড়েছিল সুপ্রিমকোর্টে। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে দিল আদালত। পিটিশনকারীদের অভিযোগ ছিল বেআইনিভাবে এই নির্মাণকাজ চলছে। নিয়মানুযায়ী ওড়িশা সরকারের এনওসি সার্টিফিকেট নিয়ে তবেই কাজ শুরু করার কথা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

কিন্তু আদতে রাজ্য সরকারের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। আর তাই অবিলম্বে এই নির্মাণের কাজ বন্ধ করা হোক। কিন্তু শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে সরকারের এই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। আমাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে আমজনতার সুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিল শীর্ষ আদালত। মামলা প্রসঙ্গে বি আর গাভাই ও বিচারপতি হেমা কহলের ডিভিশন বেঞ্চে এদিন আরও জানিয়েছে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় মামলা কোনও কোনও ক্ষেত্রে জনস্বার্থকেই ক্ষুন্ন করার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বারানসি কাশি বিশ্বনাথ মন্দিরের করিডরের সাথে সাথে পুরীর মন্দিরের করিডর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু কাজ শুরুর কয়েক দিন পর থেকেই শুরু হয় বিতর্ক। আদালতে এই নির্মাণকে কেন্দ্র করে একের পর এক অভিযোগ দায়ের হতে থাকে। তার মধ্যে মামলাকারীদের মূল অভিযোগ ছিল এই করিডোর তৈরির ফলে ঐতিহ্যবাহী এবং সুপ্রাচীন পুরীর মন্দিরের অনেক ক্ষতি হতে পারে।

তাই এই প্রকল্প অবিলম্বে বন্ধ করা হোক। যদিও কেন্দ্র এই অভিযোগকে আগেই নস্যাৎ করে দিয়েছিল এবং জানিয়েছিল এমন কোনো সম্ভাবনাই নেই কারণ করিডোরের নির্মাণকাজ শুরুর আগেই পুরীর মন্দিরের কোন ক্ষতি হবে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। শুক্রবার কেন্দ্রের সেই দাবিতেই সীলমোহর দিল শীর্ষ আদালত। অন্যদিকে জনস্বার্থ মামলা প্রসঙ্গে এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা বলেন, এই ধরনের মামলা করে অযথা আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করা হয়েছে। এর আগেই যখন এই প্রকল্পকে সবুজ সংকেত দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ এবং আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ২০২৩ সালের মে মাসের মধ্যেই যেন কাজ সম্পন্ন করা হয়।