বাংলাদেশের নোনা ইলিশ থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে কোচবিহারবাসী

বাংলাদেশের নোনা ইলিশ, খেজুর গুড় কিংবা বনজ মধুর স্বাদ আস্বাদনের থেকে এবার বঞ্চিত হতে হচ্ছে কোচবিহারবাসীকে। ঢাকাই জামদানি থেকে শুরু করে বাংলাদেশের বিভিন্ন পণ্য কিনবার জন্য যারা রাসমেলার অপেক্ষায় বসে থাকেন, তাদেরকেও হতাশ হতে হবে এবার। কারণ প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এবার আসছেন না ঐতিহ্যবাহী কোচবিহার রাসমেলায়। দীর্ঘদিন যাবৎ চলমান বাংলাদেশের অশান্তির আঁচ এবার পেতে চলেছে কোচবিহার রাসমেলাও।

দীর্ঘদিন যাবত কোচবিহার পৌরসভা পরিচালিত এই কোচবিহার রাসমেলায় প্রায় ৩০টি স্টল নিয়ে থাকেন বাংলাদেশ থেকে আসা বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা। এবং প্রতিবারই এই রাসমেলায় আসা বিপুল পরিমাণ মানুষ কিনে থাকেন বাংলাদেশের বিভিন্ন সামগ্রী। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে আসা ঢাকাই জামদানির কদর চোখে পড়ে এই রাসমেলায়। একটি বড় অংশের মহিলারা কিনে থাকেন বাংলাদেশের এই বিখ্যাত শাড়ি। একারণেই প্রতিবছর রাসমেলায় এর চাহিদা থাকে তুঙ্গে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে আসা পদ্মার নোনা ইলিশের চাহিদাও থাকে অনেকটাই। এবছর বাংলাদেশ থেকে ব্যবসায়ীদের না আসার খবরে স্বভাবতই আশাহত কোচবিহারের বড় অংশের মানুষ।

কোচবিহার পৌরসভার পৌর প্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সকলকে আশ্বস্ত করে জানান, বাংলাদেশ থেকে ব্যবসায়ীরা না আসলেও ইন্ডিয়ান সিল্ক, বেনারসি শাড়ি সহ পশ্চিমবঙ্গের শান্তিপুরের তাঁত সিল্ক, কাঁথান, তসোর সহ বিভিন্ন শাড়ীর সম্ভার থাকছে রাসমেলায়। পৌর প্রধান আরও জানান, সুন্দরবনের মধু, খেজুর গুড়ের স্টল থাকবে মেলায়। এছাড়াও জয়নগরের মোয়া ব্যবসায়ীদের আহ্বান করা হয়েছে এই রাসমেলায় আসবার জন্য। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাননি তারা। অন্যদিকে তিনি জানান এবারের রাসমেলায় বিখ্যাত শক্তিগড়ের ল্যাংচা ব্যবসায়ীদেরও নিয়ে আসার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু ২০ দিন থেকে মেলা কমে ১৫দিন হওয়ায় তারা আসতে পারছেন না।