আবার ঊর্দ্ধমুখী দেশের করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার পর চিন্তা ধরাচ্ছে দেশের করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ৯০৯ জন। দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি সংক্রমণ হচ্ছে কেরলে। দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হল ৩ কোটি ২৭ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯৩৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ৩৮০ জনের। গোটা অতিমারি পর্বে করোনাভাইরাস মোট প্রাণ কেড়েছে ৪ লক্ষ ৩৮ হাজার ২১০ জনের আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা কমলেও বেড়েছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সক্রিয় রোগী বেড়েছে ৭ হাজার ৭৬৬। অগস্টের মাঝামাঝি সময়ে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩.২০ লক্ষের নীচে নেমেছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে তা বেড়েই চলেছে। দেশে এখন সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৩ লক্ষ ৭৬ হাজার ৩২৪ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার কবল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ৩৪ হাজার ৭৬৩ জন।
কেরলে সংক্রমণে রাশ টানতে প্রতি রবিবার করে অতি সংক্রমিত এলাকায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিদিন রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত নাইট কারফিউ জারির পথে হেঁটেছে বিজয়ন সরকার। তার সুফল মিলবে বলেই আশা করোনাযুদ্ধে একসময়ে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা দক্ষিণের মালয়ালি রাজ্যের। সামনে উৎসবের মরশুম। সেপ্টেম্বরের গোড়া থেকে টানা প্রায় ২ মাস ধরে দেশে নানা সম্প্রদায়ের নানা উৎসব পালিতে হবে। জমায়েত থেকে ফের সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা। আর তা রুখতেই কড়া কেন্দ্র। ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এ মাসেও বন্ধ থাকছে আন্তর্জাতিক উড়ান। জোর দেওয়া হচ্ছে টিকাকরণে। ইতিমধ্য়ে ৬৩ কোটি ৪৩ লক্ষ মানুষের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সবাইকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র। পাশাপাশি শুরু হতে পারে ছোটদের ভ্যাকসিনেশন পদ্ধতিও। তার জন্য ট্রায়ালের অনুমোদন পেয়েছে জাইডাস-ক্যাডিলার তৈরি কমবয়সিদের ইঞ্জেকশন বিহীন টিকা।