দেশ জুড়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা, কিন্তু এরই মাঝে সব চেয়ে বেশি চিন্তা বাড়ছে লাগামছাড়া মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে। আজ প্রায় ১ হাজার ৮০০ ছুঁয়ে ফেলেছে এই সংখ্যা যা অবশ্যই দুশ্চিন্তার! তবে দৈনিক সংক্রমণের হার আজ নেমে গিয়েছে ১০ শতাংশের নীচে। কমেছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও। সব মিলিয়ে দেশের করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি যে খুব ভাল জায়গায় রয়েছে তা বলার নয়। ওমিক্রন প্রজাতি নিয়েও একটা চাপা আতঙ্ক রয়ে গিয়েছে, কারণ তার সাব ভ্যারিয়েন্ট অনেক দেশে ছেয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।
শেষ পাওয়া তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৩৮৬ জন, এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৭৩৩ জনের। আসলে শুধুমাত্র কেরলেই ১ হাজার ০৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আগে হওয়া করোনায় অনথিভুক্ত মৃত্যুর খতিয়ান গত ২৪ ঘণ্টার মৃত্যুর তালিকায় যুক্ত হতেই এই সংখ্যা প্রকাশ পেয়েছে। সব মিলিয়ে দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা এই মুহূর্তে হয়েছে ৪ কোটি ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার ৮৮৫ এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ৯৭৫। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় কিছুটা কমেছে দৈনিক সংক্রমণের হার। এখন তা ৯.২৬ শতাংশ। অন্যদিকে এই মুহূর্তে দেশে মোট টিকাকরণ হয়েছে ১৬৭ কোটি.২৯ লক্ষ ৪২ হাজার ৭০৭ ডোজ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় তা হয়েছে ৫৭ লক্ষ ৪২ হাজার ৬৫৯ ডোজ।
এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাল যে, বিশ্বের প্রায় ৫৭ দেশের ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট। অবশ্যভাবে এটি চূড়ান্ত ভাবনার বিষয়। তারা আরও জানাচ্ছে, ধীরে ধীরে এটিই হয়ে উঠছে সেই সব দেশের ‘ডমিনেন্ট ভ্যারিয়েন্ট’। অর্থাৎ এই প্রজাতির এবার বাড়বাড়ন্ত দেখা দিতে পারে। ওমিক্রনের বিএ.১,বিএ.২ ছাড়াও একাধিক সাব ভ্যারিয়েন্ট যেমন বিএ১.১, বিএ.৩-র খোঁজ মিলেছে। এখন আপাতত বিশ্বের সংক্রমণের ৯৩ শতাংশই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। তাই হলফ করে বলা যায় যে এই ভ্যারিয়েন্টগুলির মধ্যে সদ্য খোঁজ মেলা ভ্যারিয়েন্টের কারণেই এইভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।