নিম্নমুখী দেশের মৃত্যুর সংখ্যা

এইমুহূর্তে স্থিতিশীল পরিস্থিতি রয়েছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যায়। বেশ কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা গেছে সংক্রমণকে। কারণ দৈনিক সংক্রমণ তুলনায় কম হয়েছে। একদিনে মৃত্যুর সংখ্যাও বিরাট স্বস্তি দিচ্ছে। সব মিলিয়ে বিগত কিছু দিন ধরেই করোনা গ্রাফ কার্যত একই জায়গায় ঘোরাফেরা করছে দেশে। বিধিনিষেধ উঠে গেলেও কোনও ভাবেই যাতে সংক্রমণ মাথাচাড়া না দেয়, তার জন্য টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে টেস্টিংয়ে। এরই মাঝে আবার করোনার ‘এক্সই’ প্রজাতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে, আজ দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ০০৭ জন, এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে মাত্র ১ জনের। আবার একদিন সুস্থ হয়েছে ৮১৮ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ০৬ হাজার ২২৮ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ০৫৮। এদিকে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২১ হাজার ৭৩৭ জনের। আপাতত দেশের সুস্থতার হার ৯৮.৭৬ শতাংশ। টিকাকরণও চলছে দাপটের সঙ্গে। এতদিনে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ১৮৬ কোটি ২২ লক্ষের বেশি ডোজ। ইতিমধ্যে দেশে কোভিড বিধি প্রায় প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং অনেকে রাজ্যে মাস্ক ব্যবহারেও শিথিলতা জারি করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, দেশ পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার পথেই।

ইতিমধ্যেই রবিবার থেকে দেশে শুরু হয়েছে সকলের জন্য বুস্টার টিকাকরণ। এই বুস্টার ডোজ নিতে গেলে আগের দুটি ডোজের টিকা নিতে হবে। আর দ্বিতীয় ডোজের টিকা নেওয়ার ৯ মাস পর এই বুস্টার ডোজের টিকা নেওয়ার নিয়ম বলেই জানান হয়েছে। দ্বিতীয়ত, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের সময় যে টিকা নিয়েছিলেন, সেই টিকারই বুস্টার ডোজ পাবেন ব্যক্তি। অর্থাৎ কেউ যদি কোভিশিল্ডের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেন, তাহলে তিনি সেই টিকাই পাবেন। কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রয়োজ্য হবে। দাম নিয়ে কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রতিটি ডোজের যা দাম, তার থেকে সর্বাধিক ১৫০ টাকা বেশি টাকা নিতে পারবে বেসরকারি টিকাকেন্দ্রগুলি। তার থেকে বেশি টাকা নেওয়া যাবে না।