দেখতে দেখতে ফের একবার আবার আগের পর্যায়ে ফিরছে করোনা সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা। বাড়াবাড়ি রকমের সংক্রমণ বেড়েছিল বঙ্গে এবং তার জন্যই কড়া বিধিনিষেধ লাগু করা হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে কিঞ্চিত স্বস্তি কারণ আক্রান্তের সংখ্যা আপাতত নিম্নমুখী হয়েছে। গত বছরের শেষে লাগামছাড়া ভিড় দেখা গিয়েছে সব জায়গায়। আর কলকাতার সংক্রমণও বিরাট বৃদ্ধি পেয়েছিল তাই আশঙ্কা এখনই চলে যাচ্ছে না। তবে আজ বাংলার কোভিড গ্রাফ কিছুটা ওপরে উঠল।
শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে আজ আক্রান্ত হয়েছে ১০ হাজার ৪৩০ জন এবং এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। কলকাতায় একদিনে করোনা আক্রান্ত ২ হাজার ২০৫ জন। সংক্রমণের নিরিখে তারপরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে আক্রান্ত ১ হাজার ৭৬১ জন। ফলে গোটা রাজ্য জুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ লক্ষ ১৭ হাজার ৫১৪ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ২০ হাজার ১৫৫ জনের। আজ বঙ্গের পজিটিভিটি রেট ১৯.৩৮ শতাংশ। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৩ হাজার ৩০৮ জন। সুস্থতার হার ৯০ শতাংশের ওপরে ও মৃত্যু হার ১.০৫ শতাংশ।
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত দেশে মোট টিকাকরণ হয়েছে ১৫৮ কোটি ০৪ লক্ষ ৪১ হাজার ৭৭০ ডোজ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় দেওয়া হয়েছে ৭৯ লক্ষ ৯১ হাজার ২৩০ ডোজ। খুব তাড়াতাড়ি ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু হবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে। মার্চের শুরু দিকেই ১২-১৪ বছরের টিকাকরণ শুরু হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এদিকে ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক এক গবেষণা বিভিন্ন পরিবেশে ভাইরাসের আয়ু সম্পর্কে আলোকপাত করেছে!
গবেষণায় জানা যায়, বদ্ধ পরিবেশে বাড়ে কোভিড সংক্রমণের আশঙ্কা। শৌচালয়ে কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তি স্নানঘর ব্যবহার করলে তার পর প্রায় কুড়ি মিনিট সেই পরিবেশে থেকে যেতে পারে ভাইরাস। অফিসের পরিবেশে যেখানে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৪০ শতাংশের কাছাকাছি, সেখানে মাত্র ১০ সেকেন্ডের মধ্যেই সংক্রমণ ক্ষমতা অর্ধেক কমে যায় ভাইরাসের।