দিন প্রতিদিন বেড়েই চলছে রাজ্যের করোনা সংক্রমণে আক্রান্তের সংখ্যা। ধীরে ধীরে আবার উচ্চতার শিখরে পৌছাচ্ছে এই সংখ্যা। তার জন্যই কড়া বিধিনিষেধ লাগু করা হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে যে আক্রান্তের সংখ্যা বাগে আসবে না তাও স্পষ্ট। কারণ বছরের শেষে লাগামছাড়া ভিড় দেখা গিয়েছে সব জায়গায়। আর কলকাতার সংক্রমণও বিরাট বৃদ্ধি পেয়েছে তাই আশঙ্কা এখনই চলে যাচ্ছে না। আজও বাংলার কোভিড গ্রাফ উপরের দিকেই।
শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে আজ আক্রান্ত হয়েছে ২২ হাজার ১৫৫ জন এবং এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। কলকাতায় একদিনে করোনা আক্রান্ত ৭ হাজার ০৬০ জন। সংক্রমণের নিরিখে তারপরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে আক্রান্ত ৪ হাজার ৩২৬ জন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, সেখানে একদিনে আক্রান্ত ১ হাজার ৪৬১ জন। এছাড়াও হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমানে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজারের ওপরে। ফলে গোটা রাজ্য জুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮ লক্ষ ১৭ হাজার ৫৮৫ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজার ৯৫৯ জনের। আজ বঙ্গের পজিটিভিটি রেট ৩০.৮৬ শতাংশ। আর মৃত্যু হার ১.১০ শতাংশ। সুস্থতার হার কিছুটা কমে ৯২.৫১ শতাংশ। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ১১৭ জন। এখনও পর্যন্ত করোনামুক্ত বাংলার ১৬ লক্ষ ৮১ হাজার ৩৭৫ জন। সুস্থতার হার ৯৩.২০ শতাংশ। রাজ্যে আপাতত মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ১৬ হাজার ২৫১ জন।
এদিকে, সংক্রমণের হারে দেশের মধ্যে শীর্ষে পৌঁছেছে পশ্চিমবঙ্গ। বুধবার বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে এমনটাই। বাংলায় বর্তমানে সংক্রমণের হার ৩২.১৮ শতাংশ। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে মমহারাষ্ট্র, সেখানে হার ২২.৩৯ শতাংশ এবং তৃতীয় স্থানে থাকা দিল্লিতে হার ২৩.১ শতাংশ। আবার ইন্ডিয়ান ইন্সস্টিটিউট অব সায়েন্স (আইআইএসসি) এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সস্টিটিউট (আইএসআই)-এর একদল গবেষক দাবি করেছেন যে, আগামী ফেব্রুয়ারী মাসের শেষ পর্যন্ত চলবে এই করোনার দাপাদাপি। অর্থাৎ ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত আরও প্রায় দুই মাস সহ্য করতে হবে সাধারণ মানুষকে। ফেব্রুয়ারীর পর মার্চ বা এপ্রিলের শুরুর দিকে তলানিতে ঠেকবে করোনা সংক্রমণ বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে এই গবেষণায়।