করোনা সংক্রমণ, নিত্যদিনের বাজারের মূল্যবৃদ্ধি পাশাপাশি পেট্রল ডিজেলের দামের সাথে বেড়ে চলেছে রান্নার গ্যাসের দাম। এই সবের মাঝেই স্বস্তির খবর মধ্যবিত্তের জন্য। দাম কমছে ব্র্যান্ডেড পাম, সূর্যমুখী সোয়াবিনসহ সমস্ত ভোজ্য তেলের। মধ্যবিত্তের হেঁসেলে শান্তি ফিরিয়ে বৃহস্পতিবার জানা গেল এমনটাই। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অনেকটাই দাম কমেছে ব্র্যান্ডেড পাম তেল, সূর্যমুখী তেল এবং সয়াবিন তেলের।
আর তাই খুব শীঘ্রই ভারতে সমস্ত ভোজ্য তেলের দাম কমার বড়োসড়ো সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই ইন্ডিয়ান ভেজিটেবল অয়েল প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ব্র্যান্ডেড পামসহ সূর্যমুখী তেল এবং সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা পর্যন্ত কমানো হয়েছে। এক্ষেত্রে পাম তেলের দাম প্রতি লিটারে কমেছে ৭ থেকে ৮ টাকা। সূর্যমুখী তেলের দাম কমেছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। আর সোয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৫ টাকা কমেছে।
তেলের দাম কমা প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান ভেজিটেবল অয়েল প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুধাকর রাও দেশাই সম্প্রতি জানিয়েছেন, দাম কমার ফলে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ভোজ্য তেলের চাহিদা অনেকটাই বাড়বে। আর তাই ডিস্ট্রিবিউটররা ইতিমধ্যেই বেশি করে তেল মজুদ করা শুরু করেছেন। ভোজ্যতেলের দাম কমে যাওয়ার প্রভাব খাদ্যে মুদ্রাস্ফীতির উপরেও কিছুটা পড়বে। গত এক বছরে ভোজ্যতেলে যেভাবে দাম বৃদ্ধি হয়েছে তাতে অনেকটাই মুদ্রাস্ফীতি দেখা গিয়েছিল।
উল্লেখ্য গত এপ্রিল মাসে ইন্দোনেশিয়া থেকে পাম তেলের রপ্তানি নিষিদ্ধ হওয়ায় অপরিশোধিত তেলের দাম কার্যত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে। কারণ ভারত প্রতিবছর ইন্দোনেশিয়া থেকে প্রায় চার মিলিয়ন টন পাম তেল আমদানি করে। ফলে ইন্দোনেশিয়ার নিষেধাজ্ঞার ভারতে ভোজ্য তেলের ঘাটতি দেখা দিচ্ছিল।
পাশাপাশি খাদ্যপণ্য, ডিটারজেন্ট, প্রসাধনী, জ্বালানির মতো একাধিক জিনিস তৈরিতে পাম তেল ব্যবহৃত হওয়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণ তেলের অভাবে এই সমস্ত জিনিসের দামও বাড়তে শুরু করে। কিন্তু গত ২৩ মে ইন্দোনেশিয়া পাম তেল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। আর তাতেই তেলের যোগান ফের স্বাভাবিক হওয়ায় দেশে দাম কমতে শুরু করল ভোজ্য তেলের।