নতুন নির্দেশ কেন্দ্র সরকারের তরফে

শিক্ষা ক্ষেত্রে এল বড়ো বদল৷ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলিতে ছেলে মেয়েকে ভর্তি করানোর ইচ্ছা অনেকেরই থাকে৷ কিন্তু সেখানে রয়েছে কোটার গেরো৷ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ১৬ ধরণের কোটা রয়েছে৷ স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে সেই বিশেষ সংরক্ষণের প্রয়োগ আপাতত স্থগিত রাখা হল৷ ১২ এপ্রিল সমস্ত কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলিতে চিঠি পাঠিয়ে সেই নির্দেশ জানাল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক৷ 

সম্প্রতি রাজ্যসভায় বিজেপি সাংসদ ও বর্ষীয়ান নেতা সুশীলকুমার মোদী আবেদন জানিয়েছিলেন, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ৭ হাজার ৮৮০ জনের যে সাংসদ কোটা রয়েছে তা যেন তুলে নেওয়া হয়৷ সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই এই নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে কোটার বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে৷ 

শিক্ষা মন্ত্রকের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, “নয়াদিল্লির কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সদর দফতরের নির্দেশ অনুযায়ী, পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত বিশেষ কোটায় কোনও পড়ুয়াকে ভরতি নেওয়া যাবে না (৮, ৯, ১০, ১১ পাতা পার্ট বি-এর প্রথম অনুচ্ছেদ)।” কেন্দ্রের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন সুশীলকুমার মোদী। তিনি মনে করেন, স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা থাকা প্রয়োজন। বিজেপি সাংসদের কথায়, ‘‘স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে কোনও রকম দুর্নীতি কাঙ্ক্ষিত নয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই৷”

আপাতত সংরক্ষণের বিষয়টি স্থগিত রেখে বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখা হবে৷ উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলিতে ভরতির ক্ষেত্রে যে সকল কোটা রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম সাংসদ কোটা। সব মিলিয়ে প্রায় ৮ হাজার জন সাংসদের কোটা রয়েছে৷ এছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রেও সংরক্ষণ রয়েছে।   সাময়িক ভাবে সংরক্ষণের বিষয়টি স্থগিত রাখায় অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, তাহলে কি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় থেকে সংরক্ষণ তুলে নেওয়া হবে? সেই বিষয়টি এখনই নিশ্চিত করা বলা সম্ভব নয়৷ পুরো বিষয়টিই পর্যালোচনার স্তরে রয়েছে। এই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।