রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। একের পর এক দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে একের পর এক নাম উঠে আসছে। তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। যিনি সদ্য পরিচিত হয়েছেন ‘কালীঘাটের কাকু’ নামে। তিনি কর্মসূত্রে বসেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি অফিসে। যদিও নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন সুজয়।
সেই সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নাম জড়ানো গোপাল দলপতিকে চেনেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি। সুজয় বলেন,” কুন্তল যেদিন বলবেন কালীঘাটের কাকুকে টাকা দিয়েছি সেদিন জবাব দেব”। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন কয়লা পাচার মামলায় সাক্ষী হিসেবে তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। ইডিও ডেকেছিল তাঁকে। তবে স্ত্রী অসুস্থ থাকায় যেতে পারেননি বলে জানিয়েছেন সুজয়।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে যেহেতু সুজয়বাবু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে কাজ করেন তাই ‘কালীঘাটের কাকু’ প্রসঙ্গটি বর্তমানে অন্য মাত্রা পেয়েছে। তদন্ত প্রক্রিয়া যত এগোচ্ছে ততই নানা নাম যেভাবে সামনে উঠে আসছে তাতে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের মাকড়সার জাল কতদূর ছড়িয়ে পড়েছে সেটা কিছুটা হলেও আন্দাজ করা যাচ্ছে। এই জল কত দূর পর্যন্ত বিস্তৃত এখন সেটাই দেখার।