সরকারী বাস চালাতে না দিলে রেলের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে যাবার হুশিয়ারি মেয়রের

পুজো মানেই যেমন সাজগোজ করে ঠাকুর দেখতে বেড়োনো। নানা রকম খাবার খাওয়া। তেমনই ভ্রমণ পিপাসুরা পুজোর এই দীর্ঘ ছুটি কাটাতে শহরের কোলাহল ছাড়িয়ে শান্ত স্নিগ্ধ পাহাড় ও ডুয়ার্স ভ্রমণে বেড়িয়ে পড়েন। অনেকে পুজোর কয়েকদিন আগে আবার অনেকে পুজোর সময় বা পুজোর পর কয়েকটা দিন ছুটি ম্যানেজ করে পাহাড় কিংবা ডুয়ার্স মুখি হন। ইতিমধ্যেই পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয়ে গিয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশ পর্যটকই রেলে ভ্রমণ করেন।শিলিগুড়ির নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে তারা তাদের গন্তব্যের উদ্দেশ্য রওনা দেন। এদিকে এই সময় গাড়ি ভাড়াও বাড়িয়ে দেয় বেসরকারি গাড়ি চালকরা। এমনটাই অভিযোগ। তার মধ্যে গন্তব্যে পৌছাবার জন্য নেই কোনো সরকারি গাড়ি যেখানে ন্যায্য ভাড়ায় গন্তব্যে পৌছানো যায়। তাই বেড়াতে এসে বেশি ভাড়া দিয়েই পর্যটকদের বেসরকারি গাড়ি ভাড়া করতে হয়।

যদিও পর্যটকদের সুবিধার্থে কয়েক বছর আগে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এনজেপি তথা নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে বেশ কয়েকটি সরকারি বাস চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন হলো সেটা বন্ধ হয়ে যায়। অভিযোগ,রেলের অসহযোগিতায় সেই বাসগুলি বন্ধ করতে বাধ্য হয় রাজ্য সরকার। যদিও পরবর্তীতে শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেব ও পরিবহন সংস্থা এনজেপি স্টেশন থেকে বাস চালাবার আবেদন নিয়ে রেলের কাছে দরবার করেছিল। কিন্ত খালি হাতেই ফিরতে হয় তাদের। রেলের এমন কর্মকাণ্ডে বেজায় ক্ষুব্ধ শহরের মেয়র গৌতম দেব। তিনি এদিন রেলকে একপ্রকার হুশিয়ারি দিয়ে ধর্ণায় বসার কথা জানান। তার কথায়, এবার যদি রেল তাদের দাবি মেনে সরকারী বাস চালাবার অনুমতি না দেয় তাহলে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা, পর্যটন ব্যবসায়ী সহ শহরের সাধারণ মানুষ ও পুরনিগমের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এনজেপি রেল স্টেশনের সামনে ধর্নায় বসবেন। পুজোর পরপরই এই আন্দোলন করা হবে বলে মেয়র স্পষ্ট জানিয়ে দেন।