রাজ্য বিধানসভায় বড় জয়ের পর এবার কলকাতা পুরভোটেও সবুজ ঝড়৷ ছোট্ট লাল বাড়ির দখল রইল সবুজেরই ঘরে৷ ১৩৪টি ওয়ার্ড ঝুলিতে ভরে রেকর্ড করেছে শাসক দল৷ তারা পেয়েছে ৭২ শতাংশের বেশি ভোট৷ এর পাশাপাশি আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় লক্ষ্য করা গিয়েছে লালবাড়ি দখলের লড়াইয়ে৷ বিধানসভা ভোটে যে বামেরা ছিল শূন্য, কলকাতা পুরভোটে তারাই পেয়েছে ২টি আসন৷ শতাংশের নিরিখেও বিধানসভা ভোটের চেয়ে কিছুটা এগিয়েছে লাল বাহিনী৷ এমনকী বিজেপি’কে পিছনে ফেলে ৬৫টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে বামেরা৷ অর্থাৎ কিছুটা হলেও বাম দিকে ঘুরেছে স্টিয়ারিং৷ বদলেছে বিরোধী অভিমুখ৷ যা নতুন করে অক্সিজেন জুগিয়েছে আলিমুদ্দিনে৷ অল্পের জন্য বামেদের হাতছাড়া হয়েছে বেশ কিছু ওয়ার্ড৷
২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাম প্রার্থী সুজাতা সাহা মাত্র ২১ ভোটে পরাজিত হয়েছেন৷ ২৯৪ ভোটে পরাজিত হয়েছেন ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাম প্রার্থী মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী৷ আরও এক বাম প্রার্থী চয়ন ভট্টাচার্য ১১১ নম্বর ওয়ার্ডে পরাজিত হয়েছেন ৫৮১ ভোটে৷ আবার ১২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৯১৪ ভোটে পরাজিত হয়েছেন বাম প্রার্থী রীনা ভক্ত৷ ১০১৯ ভোটে পরাজিত হয়েছেন ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী রত্না রায় মজুমদার। ৬৫টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় হয়ে থামতে হয়েছে বামেদের৷ ১৫টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় হয়েছে কংগ্রেস আর ৫৪টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি৷
কলকাতা পুরসভার ১০৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী হয়েছেন বাম প্রার্থী নন্দিতা রায় আর ৯২ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছেন সিপিআই প্রার্থী মধুচ্ছন্দা দেব। পুরভোটে বামেদের ভোট শতাংশও অনেকটা বেড়ে গিয়েছে৷ ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ৩৫.৬৫ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বাম প্রার্থী করুণা সেনগুপ্ত, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ১৭.৬২ শতাংশ ভোট পেয়েছেন তাপস প্রামাণিক, ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডে অনুলেখা সিনহা পেয়েছেন ১৫.২৯ শতাংশ ভোট, ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডে ২৯.০১ শতাংশ ভোট পেয়েছেন দীপু দাস, ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডে কার্তিক মন্ডল পেয়েছেন ১৬. ৫৫ শতাংশ ভোট এবং ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডে ফৈয়াজ আহমেদ খান পেয়েছেন ২২.৩৫ শতাংশ ভোট।