রাজ্যের শাসক শিবিরের লক্ষ্য এখন ত্রিপুরা দখল। কিন্তু বারংবার এই ত্রিপুরাতেই একের পর এক আঘাত হানছে রাজ্যের শাসক শিবিরের কাছে। ত্রিপুরায় প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত হলেন তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব। তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করার পাশাপাশি ব্যাগ ছিনতাই করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। একযোগে সরব হয়েছে গোটা ঘাসফুল শিবির। তবে শুধু সুস্মিতা নন, আক্রান্ত হয়েছে সেই রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরাও। এই ঘটনার ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপির দিকে। নিশানা করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে। যদিও বিজেপির তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি এখনও।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেস শিবির টুইট করে জানায়, ‘আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল যে ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের অস্তিত্ব সহ্য করতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। প্রচারের প্রথম দিনেই তাঁর গুণ্ডারা হামলা চালিয়েছে তৃণমূলের ওপর। এখন তাহলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চুপ কেন? ত্রিপুরার মানুষের সুরক্ষা কোথায় গেল এখন? কোথায় গণতন্ত্র?’ তাদের তরফ থেকে আরও বলা হয়েছে, ‘ত্রিপুরার মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবে ঠিক সময়। পুলিশের উচিত এই মুহূর্তে ব্যবস্থা নেওয়া। এইভাবে রাজ্যের আইনের অবনতি মানা যায় না। আমরা বিচার চাই।’
এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, ‘বিপ্লব দেবের নির্দেশ মত ত্রিপুরায় দুয়ারে গুণ্ডারাজ চলছে। হামলা করার ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড হচ্ছে। একজন মহিলা রাজসভার সাংসদকে এইভাবে হেনস্থা করা অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং ধিক্কার জানানোর মত। আর সেটাই করেছে বিজেপির গুণ্ডারা।’ উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় ৮টি জেলা, ৫৮টি ব্লক ও ২০টি শহরে জনসংযোগের পরিকল্পনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন ‘দিদির দূত’ গাড়ির মাধ্যমে জনসংযোগ শুরু হয় জেলায় জেলায়। তবে কর্মসূচি শুরু হতেই আক্রান্ত হন সুস্মিতা দেব।