রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে নবম ও দশমে ভুয়ো শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কমিশনের ওয়েবসাইটে ১৮৩ জনের তালিকা প্রকাশ করতে হবে, এই নির্দেশ এসেছিল। কিন্তু তা বিকেলেই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, সিবিআই-এর বক্তব্য শোনার পর সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বিচারপতি। তাই আপাতত এই তালিকা প্রকাশ করতে হবে না।
কমিশন আগেই জানিয়েছিল যে, ১৮৩ জনকে ভুয়ো সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতেই বিচারপতি জানতে চান যে, ১৮৩ জনের মধ্যে কতজন চাকরি পেয়েছেন। আর তাই এই তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, যা এখন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। কারণ সিবিআই আদালতে দাবি করেছে, এই তালিকায় আরও অনেক বেশি নাম আছে। সেই প্রেক্ষিতেই বিচারপতি জানান, পরের শুনানির পরেই তিনি পরবর্তী নির্দেশ দেবেন।
এদিকে রাজ্যের বিষয়ে বিচারপতির বক্তব্য, রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে স্থগিতাদেশ জোগাড় করতে, এটা বিস্ময়কর। আসলে কলকাতা হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে এসএসসি জানিয়েছিল, নবম-দশম স্তরে অন্তত ১৮৩ জনকে চিহ্নিত করেছে তারা এবং ইতিমধ্যে ২০ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদে বেআইনি নিয়োগপ্রাপ্তদের সংখ্যা আপাতত সবথেকে বেশি। এছাড়াও কলকাতা, বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার মতো একাধিক রাজ্যে অনৈতিক নিয়োগ হয়েছে। বাদ যায়নি উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িও।