রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। যতদিন এগিয়ে চলেছে ততই প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক তথ্য, নাম জড়িয়েছে একাধিকের। এই পরিস্থিতিতে গরু পাচার কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে বীরভূমের বাঘ অনুব্রত মণ্ডলের। তৃণমূল নেতার পাশাপাশি তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল, দেহরক্ষী সায়গাল হোসেনের বর্তমান ঠিকানা তিহাড় জেল।
তদন্তের স্বার্থে ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অনুব্রতর দেহরক্ষীর সম্পত্তি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সোনা-রূপার অলংকারও। যদিও সমস্ত সোনার গয়নাই সায়গালের স্ত্রী সোমাইয়া খন্দেকর ওরফে জুঁই- এর বলেই দাবি করেছেন সায়গালের আইনজীবী। তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৩৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭০৯ টাকার গয়না বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় বসে ছিলেন সোমাইয়া খন্দেকর। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রাথমিকের শিক্ষিকা হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন তিনি। আর পাঁচটা শিক্ষক শিক্ষিকার মতই বেতন পান সায়গালের স্ত্রী। কিন্তু মাত্র ৬ বছর স্কুলের শিক্ষকতা করে কিভাবে তিনি এত সম্পত্তির মালিক হলেন সেই উত্তর হাতরে বেড়াচ্ছেন বিচারক।