সদ্যই প্রয়াত হয়েছেন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। গুলি করে জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে খুন করেছে সে। পুলিশি জেরায় প্রাথমিকভাবে খুনি জানিয়েছে যে, শিনজোর ওপর সে অসন্তুষ্ট ছিল, তার প্রেক্ষিতেই তাঁকে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয় সে। কিন্তু ঠিক কীসের কারণে এই অসন্তোষ?
সেটা এবার জানা গেল। সূত্রের খবর, পুলিশি জেরায় চাঞ্চল্যকর বয়ান দিয়েছে আততায়ী টেটসুয়া ইয়ামাগানি৷ খবর অনুযায়ী, পুলিশি জেরার মুখে ধৃত জানিয়েছে, তার লক্ষ্য ছিল অন্য একজন, সে ধর্মগুরু। তিনি তার মায়ের সঙ্গে প্রতারণা করেন বলে অভিযোগ তুলেছে টেটসুয়া। আর শিনজো আবেই ওই ধর্মগুরু ও তাঁর সংগঠনকে আরও প্রচারে নিয়ে এসেছিলেন তাঁর শাসনকালে।
এমনই দাবি করেছে সে। ঠিক এই কারণেই সে তাঁকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে। জানা গিয়েছে, বছর ৪১ এর টেটসুয়ার বাড়ি নারা শহরেই৷ ছক কষেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর উপর হামলা চালায় সে৷ বড়িতে বসেই তৈরি করেছিল বন্দুকের গুলি৷ তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েও একাধিক বিস্ফোরক পদার্থ উদ্ধার করেছে পুলিশ৷
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টা৷ নোরা শহরে অনুচ্চ মঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখছিলেন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। আচমকাই গুলি করা হয় তাঁকে। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন তিনি। এয়ারলিফট করে হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর আবের হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল বলেও জানা গিয়েছে। টনাস্থলের একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, ধূসর রংয়ের টিশার্ট এবং বেইজ ট্রাউজার পরে এসেছিল টেটসুয়া। গুলি করার পর সেখান থেকে পালিয়ে না গেলেও, নিরাপত্তরক্ষীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ায় সে।