কথায় আছে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। এর মাঝে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোকে ‘ইনট্যানজিবল হেরিটেজ’ তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে এই সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল যার প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে এসে তিনি বলেন, দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি গোটা ভারতের সম্মান। পাশাপাশি শাহ এও জানান, দুর্গাপুজো নারীশক্তির পুজো। গোটা ভারতের কাছে গর্বের বিষয় এই পুজোর স্বীকৃতি পাওয়া।
রাজ্য সফরের দ্বিতীয় দিনে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। এই অনুষ্ঠানেই নৃত্য পরিবেশন করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় এবং তাঁর দল। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শেষে ভিক্টোরিয়ার মঞ্চ থেকে ভাষণ দিয়েই স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের ভূমিকা নিয়ে কথা বলেন অমিত শাহ। তিনি মনে করিয়ে দেন, বহু আত্মত্যাগের পর দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীনতা আন্দোলনে সূচনা বাংলার মাটি থেকেই। একই সঙ্গে তিনি এও বলেন, দেশের সংস্কৃতি চিরন্তন। তা কেউ বিনষ্ট করতে পারবে না। গোটা বিশ্ব আমাদের সংস্কৃতির কদর করে।
তবে ভিক্টোরিয়ার দুর্গাপুজো নিয়ে অনুষ্ঠান নিয়ে বড় বিতর্ক হয়েছে। সেখানে আমন্ত্রণ করা হয়নি রাজ্যের কাউকেই। আমন্ত্রিত হয়নি ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’ সংগঠনও। এছাড়াও একাধিক শিল্পীরাও আমন্ত্রণ পায়নি এখানে আসার। তাই সকলেই মনে করছে এইভাবে বাংলা তো বটেই, বাঙালি শিল্পীদেরও অপমান করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই ‘ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’ সংগঠন এই অনুষ্ঠান বয়কট করে প্রতিবাদ সভার ডাক দিয়েছিল।