ঘটনা ঘটার পর অতিক্রম করেছে আট বছর সময়৷ কিন্তু এখনো মানুষের কাছে ফিরে আসেনি তাদের টাকা৷ চিটফান্ড সংস্থা সারদায় টাকা রেখে সর্বশান্ত হতে হয়েছিল বহু মানুষকে৷ এবার সেই টাকা ফেরানোর জন্য বড়সড় উদ্যোগ নিল কলকাতা হাই কোর্ট।
সারদার আমানতকারীদের দায়ের করা একাধিক মামলার শুনানির সময় রাজ্য সরকারের পাশাপাশি সিবিআই, সেবি ও ইডির মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে একযোগে টাকা ফেরানোর নির্দেশ দেয় বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি শুভেন্দু সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। হাই কোর্টের নির্দেশে নতুন করে টাকা ফেরতের আশায় আমানতকারীরা৷
শ্যামল সেন কমিশন বন্ধ হওয়ার পর সারদার প্রতারিত আমানতকারীদের টাকা ফেরানোর নতুন আশা জাগল কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে। সারদার মামলা হাইকোর্ট পাঠাল অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শৈলেন্দ্রপ্রসাদ তালুকদারের কমিটির হাতে।
সারদা মামলায় আইনজীবী শুভাশিস চক্রবর্তীদের আবেদন ছিল, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সারদা মামলায় তদন্ত শুরু করে সিবিআই, পরে এই মামলার সঙ্গে যুক্ত হয় সেবি ও ইডি৷ রাজ্যের হাতে তদন্তভার থাকার সময় কিছু সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছিল।
কিন্তু মামলার মূল্য উদ্দেশ্য ছিল আমানতকারীদের টাকা খোওয়া যাওয়া৷ কিন্তু, এখনও পর্যন্ত কোনও সংস্থাই আমানতকারীদের টাকা ফেরতের উদ্যোগ নেয়নি৷ এবার আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া হোক৷ সেই আরজি মেনেই সোমবার এই নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ৷
মামলাকারী পক্ষের কৌঁসুলি শুভাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, সারদা মামলায় উদ্ধার হওয়া প্রায় ১৪০ কোটি টাকা এখনও রাজ্যের হাতেই রয়েছে৷ সেবি, সিবিআই, ইডি-র হাতে রয়েছে প্রায় ১,২০০-১,৩০০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে আমানতকারীদের দিতে হবে প্রায় ১,৫০০ কোটি টাকা৷
বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি শুভেন্দু সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, বিভিন্ন সংস্খার হাতে যে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে, তালুকদার কমিটি সেগুলি বাজার নিয়ামক সংস্থা সেবির মাধ্যমে বিক্রি করবে। এর পর ওই কমিটি আমানতকারীদের টাকা ফেরতের জন্য পদক্ষেপ করবে। আদালতের নির্দেশে দীর্ঘ জটিলতা কাটিয়ে টাকা ফেরতের আশায় আমানতকারীরা।