পূর্বের অনুমানকে সত্যি প্রমান করে গ্রেফতার হলেন তিনি। আর্থিক দুর্নীতি মামলায় দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করল ইডি। সরকারি কর্মচারী থাকার সময়ে তিনি আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ। কলকাতার একটি সংস্থার সঙ্গে হাওয়ালা লেনদেনে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানুয়ারি মাসেই কেজরিওয়াল একটি জনসভায় বলেছিলেন, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে কেন্দ্র ইডিকে ব্যবহার করতে পারে। এর জেরে সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করা হতে পারে।
ইডি সূত্রের খবর, ২০১৫-১৬ সালে যখন সত্যেন্দ্র জৈন সরকারি কর্মচারী ছিলেন, সেই সময় তিনি কলকাতার একটি সংস্থার সঙ্গে হাওয়ালা লেনদেনে জড়িয়ে পড়েন। আগেই ইডি দিল্লির এই মন্ত্রী ৪.৫ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল। ইডি অভিযোগ করেছিল হাওয়ানা লেনদেনের টাকা সত্যেন্দ্র জৈনের সংস্থাগুলিতে জমা করা হয়েছিল। পাশাপাশি সেই অর্থ দিল্লি ও আশেপাশে কিছু কৃষি জমি কেনার ক্ষেত্রে ব্যয় করা হয়েছিল। এছাড়াও কিছু ঋণ শোধ করতে সত্যেন্দ্র জৈন সেই অর্থ ব্যবহার করেছিলেন বলে ইডি সূত্রের খবর।
তবে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতারের ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তেজনার সৃষ্টি হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। দিল্লির প্রশাসনের সঙ্গে কেন্দ্রের সংঘাত সৃষ্টি হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। জানুয়ারি মাসেই আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছিলেন, সত্যেন্দ্র জৈনকে ইডি গ্রেফতার করতে পারেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, পঞ্জাব ভোটের আগেই সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করা হতে পারে। পঞ্জাব ভোটে আপের জয় নিশ্চিত, তা বুঝতে পেরেই কেন্দ্র কেন্দ্রীয় সংস্থার সাহায্যে চাপে রাখতে সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করবে। তিনি বলেছিলেন, ‘ইডিকে আমরা স্বাগত জানাই। আগেও ইডি সত্যেন্দ্র জৈনের ওপর অভিযান চালিয়েছিল। কিন্তু কিছুই পায়নি।’ তবে পঞ্জাব ভোটের আগে না হলেও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আশঙ্কা সত্যি করেই ইডি সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করে।