বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে চাকরিতে নিয়োগদুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় হয়েছে রাজ্য। এরই মাঝে খুশির খবর। এবারে প্লেসমেন্টে জয়জয়কার পড়ে গিয়েছে যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের। ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নয় পড়ুয়ারা বিশ্বের তাবড় তাবড় সংস্থা থেকে চাকরির সুযোগ পয়েছেন। এই নয় জন পড়ুয়ার প্রত্যেকের বেতন এক কোটি টাকার ওপর বলে জানা গিয়েছে।
যে নয় জন পড়ুয়া যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের নাম আবার সকলের ওপর তুলে ধরেছেন তাঁরা হলেন প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কুশ মিশ্র, দেবর্ষি মৈত্র, ইনফর্মেশন টেকনোলজির রূপায়ন ঘোষ, ঋত্বিক রাজ, কম্পিউটার সায়েন্সের সত্যম কুমার, শুভম কুমার মণ্ডল এবং ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়রিংয়ের চিরদীপ দে, সাত্যকি দাস ও সৈকত চক্রবর্তী। এই প্রসঙ্গে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লেসমেন্ট অফিসার শমিতা ভট্টাচর্য বলেন, এবছর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিভিন্ন বিভাগে ভালো প্লেসমেন্ট হয়েছে।
এমনকী মেকানিক্যাল, সিভিল ও কেমিক্যালের মতো বিভাগের পড়ুয়ারাও চাকরীর আকর্ষণীয় সুযোগ পেয়েছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, সময়টা মোটেই অনুকূল ছিল। করোনা মহামারীর জেরে পড়ুয়ারা অনেক বাধার মুখে পড়েছেন। পাশাপাশি শিক্ষকদের অনেক বাধার মুখে অনলাইনে পড়াতে হয়েছে। তিনি শিক্ষক ও পড়ুয়াদের শুভেচ্ছা জানান।
জানা গিয়েছে, যাদবপুরের ৫০ জন পড়ুয়া এমন চাকরি পেয়েছেন, যার বার্ষিক প্যাকেজ ৫০ লক্ষের ওপর। এর দ্বিগুন, তিনগুন বেশি প্যাকেজেও পড়ুয়ারা চাকরি পেয়েছেন। এবছর চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন প্রায় এক হাজার পড়ুয়া। তার মধ্যে ৮৪ শতাংশ পড়ুয়া ইতিমধ্যে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এ বছর একশোর বেশি সংস্থা যাদবপুরে প্লেসমেন্ট দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে সব থেকে বেশি ১.৪ কোটি প্যাকেজের চাকরি পেয়েছেন যাদবপুরের দেবর্ষি।
আগামী সেপ্টেম্বরেই কাজে যোগ দেবেন দেবর্ষি। এত বড় সাফল্যের জন্য তিনি বাবা-মা ও শিক্ষকদের ধন্যবাদ দিয়েছেন। ১.১ কোটির প্যাকেজে আমাজনে চাকরি পেয়েছেন চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া চিরদীপ। আগামী সেপ্টেম্বরেই তিনি আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে তিনি কাজে যোগ দেবেন ভারতে এবছর সবথেকে ভালো প্যাকেজটা পেয়েছেন চতুর্থ বর্ষের আইটি পড়ুয়া লক্ষ্য বেঙ্গানি। তিনি অ্যাপেলে মাসিক ৬৫ লক্ষ টাকা বেতনের চাকরি পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।