বহু প্রতীক্ষার অবসান, বেহালাবাসীদের জন্য এলো খুশির খবর। বহু সময় আটকে থাকার পর আবারো শুরু হবে মেট্রোর কাজ, মিললো অনুমতি। জমিতে কাজ এগোনোর অনুমতি না থাকার কারণে জোরকদমে কাজ শুরু হলেও হঠাৎ থমকে গিয়েছিল জোকা-বিবাদীবাগ মেট্রো লাইনের কাজ। মোমিনপুর পর্যন্ত এসে আটকে গিয়েছিল এই প্রকল্প। সেনার আপত্তির কারণেই এই মেট্রো লাইনের কাজ আর শুরু করা যায়নি। কিন্তু এখন সেই জট কেটে গেল। সেনার আর আপত্তি নেই বলেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন এই প্রকল্পের কাজ আবার পুরোদমে শুরু হওয়া সময়ের অপেক্ষা।
এদিন কলকাতা হাইকোর্টে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে সেনাবাহিনী। ভিএনএলের সঙ্গে বৈঠক করার পরেই নিজেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে তারা। আসলে মোমিনপুরের পর থেকে পুরোটাই সেনাবাহিনীর এলাকার মধ্যে পড়ে। তাই মাটির নীচে হোক কিংবা ওপরে, মেট্রোর কাজ করতে গেলে তাদের অনুমতি নিতেই হত। কিন্তু এতদিন ধরে এই ইস্যুতে জটিলতা সৃষ্টি হয়ে ছিল তাই মোমিনপুরের পর থেকে জোকা-বিবাদীবাগ মেট্রোর কাজ বন্ধ ছিল। কিন্তু আজ আদালতে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দেওয়ার পর সেই জট কেটে গেল এবং নির্ধারিত রুটে কাজ অল্প সময়ের মধ্যেই শুরু হবে। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টও কাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছে। এখন রাজ্য সরকারের বিভিন্ন বিভাগ অনুমোদন দিয়ে দিলেই আবার শুরু হয়ে যাবে এই মেট্রো রুটের কাজ।
প্রস্তাবিত এই মেট্রো রুটের কাজ সম্পন্ন হলে বিরাট সুবিধা হবে বেহালাবাসীর। এখন বেহালা থেকে সরাসরি ধর্মতলা যেতে গেলে একমাত্র ভরসা বাস। আর যদি সময় হাতে নিয়ে বেরনো হয় তবে টালিগঞ্জ বা কালীঘাট থেকে মেট্রো ধরে যেতে হবে। তাই সরাসরি যেতে গেলে এই মেট্রো রুট ব্যাপক সুবিধা দেবে বেহালার বাসিন্দাদের। এই রুটে সখের বাজার, চৌরাস্তা, বেহালা বাজার ছাড়াও মেট্রো স্টেশন হবে তারাতলা, খিদিরপুরে। তাই যাতায়াত আরও বেশি কম সময়ের হয়ে যাবে। কোনও একটি মাত্র যানের ওপর ভরসা করার দিনের ইতি হচ্ছে খুব শিগগির।