বিগত দুদিন ধরে উত্তাল পরিস্থিতি রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ মামলার দুর্নীতির কারণে। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ডিভিশন বেঞ্চে গিয়ে ধাক্কা খেয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে সেই মামলা থেকে অব্যাহতি নিয়ে নিয়েছেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডল এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্ত। তাই কার এজলাসে এই মামলার শুনানি হবে তা ঠিক করার কথা ছিল প্রধান বিচারপতির। সেই সিদ্ধান্ত হল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মামলা গিয়েছিল বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে এবং সেই মামলা গ্রহণ হল। আগামীকাল বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে রাজ্যের মন্ত্রীকে।
সিবিআই হাজিরা এড়াতে বুধবারই ডিভিশ বেঞ্চে গিয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ কিন্তু, পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে গতকাল হাই কোর্টের রক্ষাকবচ পাননি তিনি৷ হাই কোর্টের বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডল এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর বেঞ্চ এদিন জানায়, ডিভিশন বেঞ্চে আর্জি জানানোর পদ্ধতি মানেননি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি মামলা দায়ের না করেই ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির আর্জি জানিয়েছেন। তাই তাঁদের পক্ষে এই মামলা শোনা সম্ভব নয়। পরেই তারা মামলা থেকে অব্যাহতি নিয়ে নেন। ফলে ডিভিশন বেঞ্চ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আর্জি গ্রহণ করতে না চাওয়ায় এসএসসি নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের দ্বারস্থ হন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী৷ পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
বুধবারই ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল যে, এসএসসি গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নমব-দশম শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে৷ এসএসসি’র যে ৭ টি মামলায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গেল বেঞ্চ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল, তার সব কটি’র উপর থেকেই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়৷ ফলে বুধবার বিকেলে সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের৷ সেখানে তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে৷