কেটে গিয়েছে অনেকটা সময় তবুও এখন অনেকে মন থেকে মেনে নিতে পারছে না যে তিনি আর নেই৷ এখনো পর্যন্ত বলিউডের তারকা শিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে-র মৃত্যু শোকে ডুবে তাঁর অনুরাগীরা৷ মন থেকে চরম বাস্তবটা মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই৷ কেন অকালে চলে গেলেন কেকে? সেই উত্তর মিলল এবার৷ কলকাতা পুলিশের হাতে এল শিল্পীর ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট৷ সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, হৃদযন্ত্র ঠিক মতো কাজ না করার কারণেই মৃত্যু হয়েছে কৃষ্ণকুমারের৷ ডাক্তারি পরিভাষায় যাকে বলা হয় ‘মায়োকার্ডিয়াল ইনফারকশন’৷
কেকে-র ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট বলছে, হার্ট পর্যাপ্ত রক্ত পাম্প করতে না পারায় ফুসফুস প্রয়োজনীয় অক্সিজেন শরীরে পৌঁছে দিতে পারেনি। পূর্ববর্তী সমস্যার জন্যেই হার্ট ঠিক মতো পাম্প করেত পারেনি৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কেকে-র আর্টারিতে হলদেটে সাদা রঙের প্লাক বা মেদ পাওয়া গিয়েছে। কোলেস্টেরল জমে পোস্টেরিয়র ইন্টারভেন্ট্রিকুলার আর্টারিকে বিপজ্জনকভাবে ন্যারো বা সরু করে দিয়েছিল। অ্যাথেরোমাস ডিপোজিট বা ফ্যাট জমে ব্লকেজ ছিল তাঁর বাম দিকের করোনারি আর্টারির একাধিক অংশেও।
এসএসকেএম হাসপাতালের ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্লাকগুলোকে ডিসেকশনের পরে ব্লাড না বেরোনোর অর্থ সেগুলো ব্লক হয়ে রক্ত আটকেছে। প্রসঙ্গত, কেকে-র আচমকা মৃত্যুর পর এই ঘটনায় ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’র মামলা রুজু করে নিউমার্কেট থানা। তার ভিত্তিতেই শুরু হয় তদন্ত। তবে অস্বাভাবিক মৃত্যুর তত্ত্ব পুরোপুরি খারিজ করে দিল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট৷
মঙ্গলবার কলকাতার নজরুল মঞ্চে ছিল গুরুদাস কলেজের ফেস্ট৷ শুরু থেকেই মঞ্চ মাতিয়ে রেখেছিলেন কেকে৷ তবে গানের ফাঁকে বারবার রুমাল দিয়ে মুখ মুছতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে৷ বারবার জলও খাচ্ছিলেন তিনি৷ অনুষ্ঠান শেষে গায়ক যখন মঞ্চ থেকে নামেন তখন দৃশ্যতই তাঁকে বিধ্বস্ত লাগছিল৷ সেখান থেকে মধ্য কলকাতার পাঁচতারা হোটেলে ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার আগেই সব শেষ৷ ৩০ মে কলকাতা থেকে ফোনে স্ত্রী জ্যোতির সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল কেকে-র৷ তিনি জ্যোতিকে বলেছিলেন, “আমার কাঁধে এবং হাতে ব্যথা করছে।” এর পিছনে কতটা গভীর অসুখ লুকিয়ে ছিল, তা সম্ভবত বুঝতে পারেননি শিল্পী নিজেও৷
You must be logged in to post a comment.